সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে

  • আপলোড তারিখঃ ২৫-০৫-২০২৫ ইং
দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে

দেশের রাজনীতির অঙ্গন ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের শরিকদের মধ্যেও বিভেদ বাড়ছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে এলেও অন্তর্র্বতী সরকার নির্বাচনের দিনক্ষণ স্পষ্ট করছে না। এদিকে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করছে। নির্বাচন কমিশন ঘেরাও ও পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছে। এগুলোকে অনেকে জাতীয় নির্বাচন আরো পেছানোর পাঁয়তারা মনে করছে। আবার এমনও বলা হচ্ছে, ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন নয়। অথচ সংস্কার ও বিচারের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা নিয়েও কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে এবং দাবি আদায়ে মাঠে নামারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সেখানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেছেন, অন্তর্র্বতী সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য দুই উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্য আবারও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় তাঁকেও পদত্যাগ করতে হবে। এর আগে গত বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর বাহিনীর সদস্যদের কাছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো যুক্ত হবে না। কাউকে তা করতেও দেওয়া হবে না। সেনাপ্রধান জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত বলে জানান। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ওই অনুষ্ঠানে নির্বাচন ছাড়াও মানবিক করিডর, বন্দর, সংস্কারসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। সেনাপ্রধান বলেন, মানবিক করিডর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে এবং তা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হতে হবে। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে, যা করার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই করতে হবে। যা-ই করা হোক না কেন, পলিটিক্যাল কনসেনসাসের (রাজনৈতিক ঐকমত্য) মাধ্যমে সেটি হতে হবে। সংস্কার প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, কী সংস্কার হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে—এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনো পরামর্শ বা আলোচনা করা হয়নি। রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্ট নাগরিকরাও মনে করেন, সশস্ত্র বাহিনীকে অন্ধকারে রেখে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্যোগ অবিবেচনাপ্রসূত। রাষ্ট্রের সংস্কারের বিষয়েও সশস্ত্র বাহিনীকে অন্ধকারে রাখা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে সেনাপ্রধান যে কনসার্ন ব্যক্ত করেছেন, তা যথার্থ। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের স্বার্থে অন্তর্র্বতী সরকারকে উদ্ভূত পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। সব পক্ষকে আস্থায় নিয়ে এবং সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।




কমেন্ট বক্স