সমীকরণ প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নবাসীকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেছেন, একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায় থাকলে এ দেশের উন্নতি হবে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে চিৎলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও গ্রামে গণসংযোগ শেষে আন্দিপুর গ্রামে আয়োজিত পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এই এলাকা সন্ত্রাস থেকে মুক্তি পেয়ে এখন উন্নয়নের সুফল সুবাতাস বইছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলে চিকিৎসাসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছেছে, মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন যাতে সবার হাতে পৌঁছায়, সেটা উন্মুক্ত করেছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। সরকার বিনা পয়সায় বই দিচ্ছে। প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দিচ্ছে। গবেষণার জন্য টাকা দেই। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা, প্রযুক্তির শিক্ষা দেওয়া সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। মা–বাবাকে আর টাকা খরচ করে বই কিনতে হয় না। চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সারাদেশে ৫৬২টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, মন্দির, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মের উন্নয়নে কাজ করেছে।
তিরি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না এই জন্য শেখ হাসিনা ‘যাঁদের ঘরবাড়ি, জমি নেই, তাঁদের দুই কাঠা জমিসহ ঘরবাড়ি করে দিচ্ছে। ৩৩টি জেলা ভূমিহীন গৃহহীন হয়েছে। কৃষক লীগের নেতাদের দিয়ে প্রত্যেক উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্ত আমরা তথ্য নিয়ে ঘর করে দিচ্ছে চাল, ডাল, তেল ভর্তুকি মূল্যে কেনার সুযোগ করে দিয়েছি। এসব হয়েছে আপনারা নৌকা মার্কা ভোট দিয়েছেন বলে। আমরা আপনাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটে আপনার ছেলুন ভাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় আপনাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন।
চিৎলা ইউনিয়নের আন্দিপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা আব্দুল মোমিন স্বপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান হাফু, চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আজিম উদ্দিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান নান্টু, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য তৌহিদুল ইসলাম ফকা, সাবেক ছাত্র নেতা দেলোয়ার হোসেন দীপু, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল হক ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলরিকস, মাহবুল হক টিটু, নুর আলম পাইলট, ওয়াসিম, এনামুল কাজী, করিম মালিতা, মশিউর রহমান, পীরু মিয়া, শেখ শাহী, রামীম হাসান সৈকত, সামিউল হাসান সুইট, আলিম, আশা, টিটু, সানোয়ার হোসেন, আতাউর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, হাবিল, এহিইয়া খান, বজুল, মোতালেব, সোয়েব, টুটুল, আলিম, মনোয়ার, হুমায়ন, সুজন, শাহিন, সাব্বির, ইয়াদ, শাহাবুদ্দিন, রাসেদ প্রমুখ।