ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজায় ইফতার ঘিরে দুই দলের রাজনীতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে

আজ থেকে শুরু হলো সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি এই মাসে সামিত আকারে পালন করে। রমজানে ইফতার অনুষ্ঠান ঘিরে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে চায় বিএনপি। টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি বিগত দিনে মামলা-হামলার ক্ষত কাটিয়ে ওঠাসহ নেতা-কর্মীকে চাঙ্গা করতে ধারাবাহিক গণসংযোগমূলক কর্মসূচিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে তৃণমূলকে আবারো সক্রিয় করতে চাইছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। উদ্যোগ সফল করতে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ছাড়াও আসন্ন রমজানে ইফতার পার্টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি ফের সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট বিভেদ মেটাতে রমজান মাসজুড়ে জেলা-উপজেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা কমিটি হালানাগাদের কর্মকাণ্ডও চালাবে দলটি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের লুটপাটের কারণে দেশের জনগণ কষ্টে আছে। পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু শান্তি এবং স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা পালন করবে, সাহরি ও ইফতার করবে, একাগ্রতা নিয়ে ইবাদত বন্দেগি করবে- এমনটিই ছিল জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা। কিন্তু দেশে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিদিন বেড়েই চলছে চাল-ডাল-লবণ-তেল-চিনি-পেঁয়াজ- রসুন, তরি-তরকারির দাম। এমনকি রোজাদারদের জন্য ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুরের দাম পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে জনগণের দল হিসেবে বিএনপি সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জনগণের দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন করছে। অনেক নির্যাতন, মামলা-হামলা, অত্যাচারের পরও তারা জনগণের পাশে রয়েছে। আসন্ন রমজানেও সাধ্যমতো জনগণের পাশে থাকবে বিএনপি।

দলটির নেতারা জানান, ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির বাইরে এবার আসন্ন রমজান মাসকে টার্গেট ধরা হয়েছে। কৌশল হিসেবে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ইফতার-পূর্ব আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের এ উদ্যোগে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে নেতাকর্মীর মধ্যে এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এবং এর মাধ্যমে নেতাকর্মীর মনোবল আরো দৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের পাশাপাশি এবার সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতারের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এসব ইফতার অনুষ্ঠানে কারাবন্দি ও গুম-খুন হওয়া নেতাকর্মীর পরিবার এবং কারামুক্ত নেতাকর্মীকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

তারা বলেন, এ রকম কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় রমজান মাসে নেতাকর্মীকে সংগঠিত করার পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে দেশের ইফতার পার্টিকে আরো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইফতার পার্টির পূর্ব আলোচনা সভায় সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা হবে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি আর নেতাদের অর্থ লোপাট, বিদেশে পাচারের চিত্র তুলে ধরে সরকারবিরোধী আগামী আন্দোলনে জনগণকে মাঠে নামার আহ্বান জানানো হবে এসব ইফতার পার্টি থেকে।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, রমজানে প্রতিদিন দুপুরের আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোনো না কোনো জেলা-উপজেলার দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এসব মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট বিভেদ নিরসন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে করণীয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোতে দ্রুততম সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া যেসব স্থানে সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি, সেগুলো সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হবে। রোজায় ‘মানবসেবামূলক’ কর্মসূচি নিয়েও মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুলটি এবার পুরো রোজায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দরিদ্রদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবে। রোজার শেষ সপ্তাহে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে বড় ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। যে টাকা দিয়ে ইফতার পার্টি করা হতো, সেই টাকায় দরিদ্রদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এই উদ্যোগ দলের ভাবমূর্তি বাড়াবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও একই রকম কর্মসূচি নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রমজান মাসে সংযম না করে বিএনপি যতই কর্মসূচি দেবে ততই তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। রমজানে সরকারবিরোধী কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বিএনপি- এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, এতে করে তাদের জনসম্পৃক্ততা অব্যাহতভাবে কমতে থাকবে। রোজার মাসে সংযম না করে বিএনপি যতই আন্দোলন করবে তারা ততই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাদের বলেন, রমজানের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটা বিষয় আছে। সরকার অত্যন্ত সতর্ক ও সর্বাত্মক প্রয়াস চালাচ্ছে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। বিশ্ব সংকটের প্রেক্ষাপটেও এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। যেটা বিএনপির সময় হয়নি। তারা শুধু দাম বাড়াতে পারে। বিশ্ব সংকটের মধ্যে তেলের কমানো নিয়ে যারা সরকারের প্রশংসা করে না তারা বিরোধিতার নামে বিরোধিতা করে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গতবারের মতো এবারও রমজানে সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো ইফতার পার্টি করা হবে না। এর পরিবর্তে সারাদেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গরিব ও সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রোজায় ইফতার ঘিরে দুই দলের রাজনীতি

আপলোড টাইম : ১০:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

আজ থেকে শুরু হলো সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি এই মাসে সামিত আকারে পালন করে। রমজানে ইফতার অনুষ্ঠান ঘিরে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে চায় বিএনপি। টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি বিগত দিনে মামলা-হামলার ক্ষত কাটিয়ে ওঠাসহ নেতা-কর্মীকে চাঙ্গা করতে ধারাবাহিক গণসংযোগমূলক কর্মসূচিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে তৃণমূলকে আবারো সক্রিয় করতে চাইছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। উদ্যোগ সফল করতে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ছাড়াও আসন্ন রমজানে ইফতার পার্টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি ফের সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট বিভেদ মেটাতে রমজান মাসজুড়ে জেলা-উপজেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা কমিটি হালানাগাদের কর্মকাণ্ডও চালাবে দলটি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের লুটপাটের কারণে দেশের জনগণ কষ্টে আছে। পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু শান্তি এবং স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা পালন করবে, সাহরি ও ইফতার করবে, একাগ্রতা নিয়ে ইবাদত বন্দেগি করবে- এমনটিই ছিল জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা। কিন্তু দেশে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিদিন বেড়েই চলছে চাল-ডাল-লবণ-তেল-চিনি-পেঁয়াজ- রসুন, তরি-তরকারির দাম। এমনকি রোজাদারদের জন্য ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুরের দাম পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে জনগণের দল হিসেবে বিএনপি সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জনগণের দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন করছে। অনেক নির্যাতন, মামলা-হামলা, অত্যাচারের পরও তারা জনগণের পাশে রয়েছে। আসন্ন রমজানেও সাধ্যমতো জনগণের পাশে থাকবে বিএনপি।

দলটির নেতারা জানান, ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির বাইরে এবার আসন্ন রমজান মাসকে টার্গেট ধরা হয়েছে। কৌশল হিসেবে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ইফতার-পূর্ব আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের এ উদ্যোগে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে নেতাকর্মীর মধ্যে এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এবং এর মাধ্যমে নেতাকর্মীর মনোবল আরো দৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের পাশাপাশি এবার সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতারের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এসব ইফতার অনুষ্ঠানে কারাবন্দি ও গুম-খুন হওয়া নেতাকর্মীর পরিবার এবং কারামুক্ত নেতাকর্মীকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

তারা বলেন, এ রকম কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় রমজান মাসে নেতাকর্মীকে সংগঠিত করার পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে দেশের ইফতার পার্টিকে আরো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইফতার পার্টির পূর্ব আলোচনা সভায় সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা হবে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি আর নেতাদের অর্থ লোপাট, বিদেশে পাচারের চিত্র তুলে ধরে সরকারবিরোধী আগামী আন্দোলনে জনগণকে মাঠে নামার আহ্বান জানানো হবে এসব ইফতার পার্টি থেকে।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, রমজানে প্রতিদিন দুপুরের আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোনো না কোনো জেলা-উপজেলার দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এসব মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট বিভেদ নিরসন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে করণীয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোতে দ্রুততম সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া যেসব স্থানে সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি, সেগুলো সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হবে। রোজায় ‘মানবসেবামূলক’ কর্মসূচি নিয়েও মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুলটি এবার পুরো রোজায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দরিদ্রদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবে। রোজার শেষ সপ্তাহে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে বড় ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। যে টাকা দিয়ে ইফতার পার্টি করা হতো, সেই টাকায় দরিদ্রদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এই উদ্যোগ দলের ভাবমূর্তি বাড়াবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও একই রকম কর্মসূচি নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রমজান মাসে সংযম না করে বিএনপি যতই কর্মসূচি দেবে ততই তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। রমজানে সরকারবিরোধী কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বিএনপি- এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, এতে করে তাদের জনসম্পৃক্ততা অব্যাহতভাবে কমতে থাকবে। রোজার মাসে সংযম না করে বিএনপি যতই আন্দোলন করবে তারা ততই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাদের বলেন, রমজানের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটা বিষয় আছে। সরকার অত্যন্ত সতর্ক ও সর্বাত্মক প্রয়াস চালাচ্ছে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। বিশ্ব সংকটের প্রেক্ষাপটেও এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। যেটা বিএনপির সময় হয়নি। তারা শুধু দাম বাড়াতে পারে। বিশ্ব সংকটের মধ্যে তেলের কমানো নিয়ে যারা সরকারের প্রশংসা করে না তারা বিরোধিতার নামে বিরোধিতা করে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গতবারের মতো এবারও রমজানে সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো ইফতার পার্টি করা হবে না। এর পরিবর্তে সারাদেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গরিব ও সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।