ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৩ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
গান শোনাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে আলমডাঙ্গার গোপালদিয়াড় ও বাঁশবাড়িয়া গ্রামবাসীর মধ্যে মাইকে প্রচার করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সেবাবাগ বাজারে গোপালদিয়াড় ও বাশবাড়িয়া গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে মারামারির জন্য একত্রিত করার অভিযোগ উঠেছে বাঁশবাড়িয়া গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গতকাল বিকেলে হাটবোয়ালিয়া বাজারে বাশবাড়িয়া গ্রামের ইমরানের সাথে দ্বন্দ্ব হয় গোপালদিয়াড়ের এনামুলে। একপর্যায়ে তাদের ভেতর হাতাহাতি হয়। পরে হাটবোয়ালিয়া বাজারের লোকজন তাদের দুজনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনা এনামুল ও ইমরান তাদের গ্রামে জানায়। দুজনের পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের নিয়ে আসে। পরে ইমরানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় গোপালদিয়াড় গ্রামবাসী সেবাবাগ বাজারে গ্রামে ইমরানকে আটকায় অভিযোগ করেছে বাশবাড়িয়ার নান্নু। এ সংবাদ শুনে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মসজিদের মাইক ব্যবহার করে মারামারির জন্য মানুষকে একত্রিত করে গোপালদিয়াড়ের লোকজনের ওপর হামলা করতে যায় তারা। এসময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আলমডাঙ্গা থানা, ওসমানপুর ক্যাম্প ও হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গোপালদিয়াড় গ্রামবাসীর পক্ষে আহত হয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন জামাত আলীল ছেলে আশিক (২৫), মৃত আজগর আলীর ছেলে চাঁদ আলী(৫০), শুকুর আলীর ছেলে ইকলাচুর রহমান (৩৫), আক্তার আলীর ছেলে সাহাবুল হক (৪০) ও আব্দুল বারেক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪৫)। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের পক্ষের আহত ৩ জন হচ্ছেন ইউনুচ আলীর ছেলে নান্নু (৩৫), মহিদুল ইসলামের ছেলে জীবন আলী (২৮) ও মুত ফাকের আলীর ছেলে ইউসুচ আলী (৬০)। এদিকে, দুই গ্রামের এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই এলাকায় পুলিশের সতর্ক টহল অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হোসাইন বলেন, গান শোনাসহ বেশকিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই গ্রামের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ বা মামলা করেনি। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। দুই এলাকাতেই পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮

আপলোড টাইম : ০৮:২৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
গান শোনাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে আলমডাঙ্গার গোপালদিয়াড় ও বাঁশবাড়িয়া গ্রামবাসীর মধ্যে মাইকে প্রচার করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সেবাবাগ বাজারে গোপালদিয়াড় ও বাশবাড়িয়া গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে মারামারির জন্য একত্রিত করার অভিযোগ উঠেছে বাঁশবাড়িয়া গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গতকাল বিকেলে হাটবোয়ালিয়া বাজারে বাশবাড়িয়া গ্রামের ইমরানের সাথে দ্বন্দ্ব হয় গোপালদিয়াড়ের এনামুলে। একপর্যায়ে তাদের ভেতর হাতাহাতি হয়। পরে হাটবোয়ালিয়া বাজারের লোকজন তাদের দুজনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনা এনামুল ও ইমরান তাদের গ্রামে জানায়। দুজনের পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের নিয়ে আসে। পরে ইমরানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় গোপালদিয়াড় গ্রামবাসী সেবাবাগ বাজারে গ্রামে ইমরানকে আটকায় অভিযোগ করেছে বাশবাড়িয়ার নান্নু। এ সংবাদ শুনে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মসজিদের মাইক ব্যবহার করে মারামারির জন্য মানুষকে একত্রিত করে গোপালদিয়াড়ের লোকজনের ওপর হামলা করতে যায় তারা। এসময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আলমডাঙ্গা থানা, ওসমানপুর ক্যাম্প ও হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গোপালদিয়াড় গ্রামবাসীর পক্ষে আহত হয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন জামাত আলীল ছেলে আশিক (২৫), মৃত আজগর আলীর ছেলে চাঁদ আলী(৫০), শুকুর আলীর ছেলে ইকলাচুর রহমান (৩৫), আক্তার আলীর ছেলে সাহাবুল হক (৪০) ও আব্দুল বারেক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪৫)। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের পক্ষের আহত ৩ জন হচ্ছেন ইউনুচ আলীর ছেলে নান্নু (৩৫), মহিদুল ইসলামের ছেলে জীবন আলী (২৮) ও মুত ফাকের আলীর ছেলে ইউসুচ আলী (৬০)। এদিকে, দুই গ্রামের এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই এলাকায় পুলিশের সতর্ক টহল অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হোসাইন বলেন, গান শোনাসহ বেশকিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই গ্রামের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ বা মামলা করেনি। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। দুই এলাকাতেই পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।