ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতীক পেয়েই ভোটের মাঠে ব্যস্ত প্রার্থীরা

দুর্গম এলাকা ছাড়া ব্যালট যাবে সকালে, সশস্ত্র বাহিনী নামছে ২৯ ডিসেম্বর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচন প্রচারে নেমে পড়েছেন। অনেকে নির্বাচনি পোস্টার আগেই ছেপে রেখেছিলেন, গতকাল নির্বাচিন এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় তা টানানো শুরু হয়েছে।

শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। প্রচারণার শুরুতে কিছু জায়গায় সংঘাত-সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। দুর্গম এলাকা ছাড়া নির্বাচনে মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ এলাকায় ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দিয়ে ইসি বলেছে, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সেনা মোতায়েন করতে হবে। ২৯ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

১৬টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে রাজপথে আন্দোলনে রয়েছে। অন্যদিকে ২৭টি রাজনৈতিক দল এবারের ভোটে অংশ নিচ্ছে। গণতন্ত্রী পার্টির নেতৃত্বের বিরোধের কারণে সব প্রার্থী বাতিল করেছে ইসি। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় ভোটের মাঠে উৎসবের আমেজ কিছুটা কম। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন রিটার্নিং অফিসাররা। এর মধ্যে ৩৭৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। আদালত থেকে ইতিমধ্যে ৯ জনের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবর এসেছে। তবে নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৬৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে ২৬৩ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত আর ছয় জন ১৪ দলীয় জোটের। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মূূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। শতাধিক আসনে চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। কেননা, আওয়ামী লীগের ২৮ জন সংসদ সদস্য এবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য আওয়ামী লীগ ২৬টি আসন থেকে নৌকা প্রতীক প্রত্যাহার করে নিলেও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে জাপা। বিভিন্ন জেলার ডিসি কার্যালয় থেকে প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচারণায় নেমে পড়েন প্রার্থীরা। অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার অনেকেই নিয়ম মেনে শুরুতেই প্রচারণা শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি নৌকা প্রতীক পেয়েই পিরোজপুর জেলা সদর, স্বরূপকাঠি, ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে আগত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন এবং জাতীয় পার্টি-জেপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ নির্বাচনি এলাকায় সাইকেল চালিয়ে প্রচার শুরু করেন। লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চেয়ে বিশাল শোডাউন করেন ঢাকা-৪ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

কেন্দ্রে সকালে যাবে ব্যালট পেপার : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ এলাকায় ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে দুর্গম পার্বত্য এলাকা, হাওর, চরাঞ্চলসহ যেসব কেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব নয়, সেই সব কেন্দ্রের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এতে ভোটে স্বচ্ছতা বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এটা অনেকের দাবি ছিল। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাওয়ায় স্বচ্ছতা বাড়াবে।

ব্যালট পেপার সকালে পাঠানোর বিষয়ে ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রটি ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। ঐ পরিপত্রে বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার ভোটগ্রহণের দিন সকালে নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য যাচাই-বাছাই ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে ব্যালট পেপারও ভোটের আগের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। ভোটের আগের রাতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরেন বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ঐ নির্বাচনকে তারা বলে নিশিরাতের ভোট, আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে তারা বলে নিশিরাতের সরকার। ব্যালট পেপার সকালে পাঠানো নিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের ফেয়ারনেস নিয়ে কোনো সংশয় থাকলে সকালে ব্যালট যাওয়ার ফলে তা কিছুটা হ্রাস পাবে। আর প্রত্যন্ত এলাকার বিষয়ে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা আমাদের কাছে অনুমোদন গ্রহণ করবেন। আমরা বিচার-বিবেচনা করেই তাদের প্রস্তাব অনুমোদন করে দেব। তাছাড়া যত দূর সম্ভব ব্যালট পেপারগুলো ভোটের দিন সকালে যাবে।’ পোলিং এজেন্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ব্যালট বাক্সগুলো দুই থেকে চার দিন আগেই যাবে। ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ কি না (ভোটের সকালে) দেখে নিতে হবে। পোলিং এজেন্ট থাকতেই হবে। দেখে নিয়ে পোলিং এজেন্টেদের স্বাক্ষর করতে হবে। ব্যালট পেপার খালি ছিল এবং সকালে ব্যালট গেছে—এটা সবাইকে দেখে নিতে হবে। ব্যালট পেপার সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ :প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে বিতরণের আগে ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন ধরনের সিল সংরক্ষণ এবং সেই সবের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্রে আরো বলা হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনি এজেন্ট অথবা পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদের সম্মুখে আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে ভোট গণনার কাজ শেষ করতে হবে। ভোট গণনার কাজ ভোটকেন্দ্রেই শেষ করা প্রিজাইডিং অফিসারদের আইনগত দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তাদের অবশ্যই পালন করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই ভোটকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ভোট গণনা করা যাবে না। ভোট গণনার বিবরণ ভোটকেন্দ্রের নোটিশ বোর্ড বা দেওয়ালে ঝুলিয়ে প্রকাশ করতে হবে। ভোট গণনার কাজ শেষ হওয়ার পরপরই প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসারকে ব্যবহূত ব্যালট পেপার ভর্তি সিলমোহরকৃত বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট, ভোট গণনার বিবরণী, ব্যালট পেপারের হিসাব এবং অন্যান্য কাগজপত্র সরাসরি উপযুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে। ভোটের বেসরকারি ফল সংগ্রহ ও প্রচারের সময় ‘ফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনি এজেন্ট অথবা দলের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সংগঠন যেমন—স্থানীয় প্রেসক্লাব, বারের সভাপতি-সেক্রেটারি অথবা তাদের প্রতিনিধিকে লিখিতভাবে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।

সেনা মোতায়েন হবে উপজেলা ও থানা পর্যায়ে: নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভািগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে (পিএসও) একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদসস্যরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা-মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে। ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে বলা হয়, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্ভব সব আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০ নির্বাচনি এলাকায় আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে নির্বাচনি এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো ও নির্বাচনি পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে।

চিঠিতে নির্বাচন কমিশন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে জানায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনে বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের সপ্তম ও দশম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনি কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা-মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে; রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা ও থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে, সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে; সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে; ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়নের সময়সহ বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাতে হবে এবং বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রমে সহায়তা করতে হবে।

প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৯ জন: এদিকে হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৯ জন। হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, টাঙ্গাইল-৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, মানিকগঞ্জ-২ তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর-২ স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম, রাজশাহী-১ স্বতন্ত্র মো. গোলাম রব্বানী, খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদি দারা, বরিশাল-৪ আসনে সাদিক আব্দুল্লাহ ও বগুড়া-৩ স্বতন্ত্র মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রতীক পেয়েই ভোটের মাঠে ব্যস্ত প্রার্থীরা

দুর্গম এলাকা ছাড়া ব্যালট যাবে সকালে, সশস্ত্র বাহিনী নামছে ২৯ ডিসেম্বর

আপলোড টাইম : ১২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচন প্রচারে নেমে পড়েছেন। অনেকে নির্বাচনি পোস্টার আগেই ছেপে রেখেছিলেন, গতকাল নির্বাচিন এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় তা টানানো শুরু হয়েছে।

শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। প্রচারণার শুরুতে কিছু জায়গায় সংঘাত-সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। দুর্গম এলাকা ছাড়া নির্বাচনে মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ এলাকায় ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দিয়ে ইসি বলেছে, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সেনা মোতায়েন করতে হবে। ২৯ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

১৬টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে রাজপথে আন্দোলনে রয়েছে। অন্যদিকে ২৭টি রাজনৈতিক দল এবারের ভোটে অংশ নিচ্ছে। গণতন্ত্রী পার্টির নেতৃত্বের বিরোধের কারণে সব প্রার্থী বাতিল করেছে ইসি। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় ভোটের মাঠে উৎসবের আমেজ কিছুটা কম। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন রিটার্নিং অফিসাররা। এর মধ্যে ৩৭৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। আদালত থেকে ইতিমধ্যে ৯ জনের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবর এসেছে। তবে নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৬৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে ২৬৩ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত আর ছয় জন ১৪ দলীয় জোটের। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মূূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। শতাধিক আসনে চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। কেননা, আওয়ামী লীগের ২৮ জন সংসদ সদস্য এবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য আওয়ামী লীগ ২৬টি আসন থেকে নৌকা প্রতীক প্রত্যাহার করে নিলেও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে জাপা। বিভিন্ন জেলার ডিসি কার্যালয় থেকে প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচারণায় নেমে পড়েন প্রার্থীরা। অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার অনেকেই নিয়ম মেনে শুরুতেই প্রচারণা শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি নৌকা প্রতীক পেয়েই পিরোজপুর জেলা সদর, স্বরূপকাঠি, ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে আগত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন এবং জাতীয় পার্টি-জেপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ নির্বাচনি এলাকায় সাইকেল চালিয়ে প্রচার শুরু করেন। লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চেয়ে বিশাল শোডাউন করেন ঢাকা-৪ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

কেন্দ্রে সকালে যাবে ব্যালট পেপার : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ এলাকায় ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে দুর্গম পার্বত্য এলাকা, হাওর, চরাঞ্চলসহ যেসব কেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব নয়, সেই সব কেন্দ্রের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এতে ভোটে স্বচ্ছতা বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এটা অনেকের দাবি ছিল। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাওয়ায় স্বচ্ছতা বাড়াবে।

ব্যালট পেপার সকালে পাঠানোর বিষয়ে ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রটি ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। ঐ পরিপত্রে বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার ভোটগ্রহণের দিন সকালে নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য যাচাই-বাছাই ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে ব্যালট পেপারও ভোটের আগের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। ভোটের আগের রাতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরেন বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ঐ নির্বাচনকে তারা বলে নিশিরাতের ভোট, আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে তারা বলে নিশিরাতের সরকার। ব্যালট পেপার সকালে পাঠানো নিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের ফেয়ারনেস নিয়ে কোনো সংশয় থাকলে সকালে ব্যালট যাওয়ার ফলে তা কিছুটা হ্রাস পাবে। আর প্রত্যন্ত এলাকার বিষয়ে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা আমাদের কাছে অনুমোদন গ্রহণ করবেন। আমরা বিচার-বিবেচনা করেই তাদের প্রস্তাব অনুমোদন করে দেব। তাছাড়া যত দূর সম্ভব ব্যালট পেপারগুলো ভোটের দিন সকালে যাবে।’ পোলিং এজেন্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ব্যালট বাক্সগুলো দুই থেকে চার দিন আগেই যাবে। ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ কি না (ভোটের সকালে) দেখে নিতে হবে। পোলিং এজেন্ট থাকতেই হবে। দেখে নিয়ে পোলিং এজেন্টেদের স্বাক্ষর করতে হবে। ব্যালট পেপার খালি ছিল এবং সকালে ব্যালট গেছে—এটা সবাইকে দেখে নিতে হবে। ব্যালট পেপার সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ :প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে বিতরণের আগে ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন ধরনের সিল সংরক্ষণ এবং সেই সবের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্রে আরো বলা হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনি এজেন্ট অথবা পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদের সম্মুখে আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে ভোট গণনার কাজ শেষ করতে হবে। ভোট গণনার কাজ ভোটকেন্দ্রেই শেষ করা প্রিজাইডিং অফিসারদের আইনগত দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তাদের অবশ্যই পালন করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই ভোটকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ভোট গণনা করা যাবে না। ভোট গণনার বিবরণ ভোটকেন্দ্রের নোটিশ বোর্ড বা দেওয়ালে ঝুলিয়ে প্রকাশ করতে হবে। ভোট গণনার কাজ শেষ হওয়ার পরপরই প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসারকে ব্যবহূত ব্যালট পেপার ভর্তি সিলমোহরকৃত বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট, ভোট গণনার বিবরণী, ব্যালট পেপারের হিসাব এবং অন্যান্য কাগজপত্র সরাসরি উপযুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে। ভোটের বেসরকারি ফল সংগ্রহ ও প্রচারের সময় ‘ফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনি এজেন্ট অথবা দলের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সংগঠন যেমন—স্থানীয় প্রেসক্লাব, বারের সভাপতি-সেক্রেটারি অথবা তাদের প্রতিনিধিকে লিখিতভাবে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।

সেনা মোতায়েন হবে উপজেলা ও থানা পর্যায়ে: নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভািগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে (পিএসও) একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদসস্যরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা-মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে। ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে বলা হয়, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্ভব সব আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০ নির্বাচনি এলাকায় আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে নির্বাচনি এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো ও নির্বাচনি পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে।

চিঠিতে নির্বাচন কমিশন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে জানায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনে বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের সপ্তম ও দশম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনি কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা-মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে; রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা ও থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে, সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে; সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে; ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়নের সময়সহ বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাতে হবে এবং বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রমে সহায়তা করতে হবে।

প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৯ জন: এদিকে হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৯ জন। হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, টাঙ্গাইল-৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, মানিকগঞ্জ-২ তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর-২ স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম, রাজশাহী-১ স্বতন্ত্র মো. গোলাম রব্বানী, খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদি দারা, বরিশাল-৪ আসনে সাদিক আব্দুল্লাহ ও বগুড়া-৩ স্বতন্ত্র মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।