ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৯ ডিসেম্বর থেকে ভোটের মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্রবাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদ্যমান আইনানুযায়ী স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন সেনা সদস্যরা। নির্বাচন কমিশন চায়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা। গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে স্বশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে ইসির নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জানিয়েছেন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েন হতে পারে। এটা একটা প্রারম্ভিক আলোচনা। কীভাবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে, কোথায় কোথায় তারা কীভাবে কাজ করবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত: সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির অনুরোধ করবেন, তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিলে অবশ্যই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে। আমি নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি, তারা যেভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চাইবেন, সেইভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হোক। এ ব্যাপারে আমার সামান্যতম সন্দেহ নেই। রাষ্ট্রপতি নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হলে নির্বাচন কমিশনকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। গত নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৩৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন ছিল। এবারের নির্বাচনে যদি বেশি প্রয়োজন হয়, তাহলে বেশি সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করবো।
অন্যদিকে বৈঠক শেষে সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করেছে। এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে কী করে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসি সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি সেনা মোতায়েনে সম্মতি দিলে আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব। ইসি সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে সাত লাখ সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবে। তাদের মধ্যে আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র্যাব এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন এবং বিজিবি সদস্য থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

২৯ ডিসেম্বর থেকে ভোটের মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্রবাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদ্যমান আইনানুযায়ী স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন সেনা সদস্যরা। নির্বাচন কমিশন চায়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা। গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে স্বশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে ইসির নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জানিয়েছেন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েন হতে পারে। এটা একটা প্রারম্ভিক আলোচনা। কীভাবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে, কোথায় কোথায় তারা কীভাবে কাজ করবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত: সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির অনুরোধ করবেন, তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিলে অবশ্যই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে। আমি নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি, তারা যেভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চাইবেন, সেইভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হোক। এ ব্যাপারে আমার সামান্যতম সন্দেহ নেই। রাষ্ট্রপতি নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হলে নির্বাচন কমিশনকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। গত নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৩৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন ছিল। এবারের নির্বাচনে যদি বেশি প্রয়োজন হয়, তাহলে বেশি সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করবো।
অন্যদিকে বৈঠক শেষে সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করেছে। এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে কী করে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসি সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি সেনা মোতায়েনে সম্মতি দিলে আমরা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব। ইসি সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে সাত লাখ সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবে। তাদের মধ্যে আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র্যাব এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন এবং বিজিবি সদস্য থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন।