ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল ভিআইপিতে নারী দিয়ে প্রতারণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় নারী দিয়ে প্রতারণা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্যদের হাতিয়ে নেওয়া একটি মোটরসাইকেল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার তিনজনকে পুলিশ চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার আব্দুল আলিম ফটিকের ছেলে বিপুল (২৭), সুমিরদিয়া পাড়ার দরুদ হাসানের ছেলে রুহুল আমিন আশিক (২৫) ও হাসপাতালপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে রিমন (২৪)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নুরনগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম গত ২৪ মে বাড়িতে রাগারাগি করে হোটেল ভিআইপি আবাসিক হোটেলের ৬১১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। ২৭ মে সকালে হোটেল রুমে অবস্থানকালীন সময়ে বিপুল, রুহুল আমিন আশিক ও রিমন তিন যুবক দুই নারীকে সাথে নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন। এসময় দুই নারীকে নিয়ে ৬১১ নম্বর রুমের কাছে যায় প্রচারক চক্র। পরে ইভা নামের এক নারীকে রাকিবুল ইসলামের রুমে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর প্রতারক চক্রের সদস্য রুহুল আমিন আশিক জোর করে ইভা খাতুনের সাথে রাকিবুলের আপত্তিকর অবস্থায় রাখে। পরে রুহুল আমিন আশিক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখে।

আরও জানা যায়, প্রতারকরা রাকিবুলের কাছে ব্লাকমেইল করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মারপিট করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, চেকবই, মানিব্যাগ ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। চলে যাওয়ার আগে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেখানো হয় বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সদর থানার এসআই মাসুম বিল্লা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শহরের পৃথক তিনটি স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল, রুহুল আমিন আশিক ও রিমনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে তিনজনকে আমলি চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নামে চুয়াডাঙ্গা থানায় একাধিক মামলা আছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে সদর থানার পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল ভিআইপিতে নারী দিয়ে প্রতারণা

আপলোড টাইম : ০৩:৪১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় নারী দিয়ে প্রতারণা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্যদের হাতিয়ে নেওয়া একটি মোটরসাইকেল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার তিনজনকে পুলিশ চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার আব্দুল আলিম ফটিকের ছেলে বিপুল (২৭), সুমিরদিয়া পাড়ার দরুদ হাসানের ছেলে রুহুল আমিন আশিক (২৫) ও হাসপাতালপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে রিমন (২৪)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নুরনগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম গত ২৪ মে বাড়িতে রাগারাগি করে হোটেল ভিআইপি আবাসিক হোটেলের ৬১১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। ২৭ মে সকালে হোটেল রুমে অবস্থানকালীন সময়ে বিপুল, রুহুল আমিন আশিক ও রিমন তিন যুবক দুই নারীকে সাথে নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন। এসময় দুই নারীকে নিয়ে ৬১১ নম্বর রুমের কাছে যায় প্রচারক চক্র। পরে ইভা নামের এক নারীকে রাকিবুল ইসলামের রুমে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর প্রতারক চক্রের সদস্য রুহুল আমিন আশিক জোর করে ইভা খাতুনের সাথে রাকিবুলের আপত্তিকর অবস্থায় রাখে। পরে রুহুল আমিন আশিক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখে।

আরও জানা যায়, প্রতারকরা রাকিবুলের কাছে ব্লাকমেইল করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মারপিট করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, চেকবই, মানিব্যাগ ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। চলে যাওয়ার আগে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেখানো হয় বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সদর থানার এসআই মাসুম বিল্লা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শহরের পৃথক তিনটি স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল, রুহুল আমিন আশিক ও রিমনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে তিনজনকে আমলি চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নামে চুয়াডাঙ্গা থানায় একাধিক মামলা আছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে সদর থানার পুলিশ।