চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন বলেছেন, ‘জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা টেন্ডারবাজি করার জন্য রাজনীতি করে না। শিয়ালমারি পশুহাট, একতারপুর-সিংনগর বাঁওড় দখল করার জন্য রাজনীতি করে না। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি।’ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর বাসস্ট্যান্ডে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সবাই চাকরি পাবে। আপনার সন্তানদের চাকরি দেওয়ার জন্য ঘুষের টাকা জোগাড় করতে কৃষিজমি ও হালের গরু বিক্রি করতে হবে না। কৃষকেরা সময়মতো সার পাবেন। সার বিক্রির জন্য মধ্যস্থতাভোগী কোনো ডিলার থাকবে না। সব ব্যবসায়ীর কাছে সার থাকবে, যার যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সার কিনে জমিতে দেবে। কোনো ব্যবসায়ীকে চাঁদা দেওয়া লাগবে না। নিরাপদ পরিবেশে সবাই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে। সবার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থাকবে। কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঘুষ দিয়ে কাজ করতে হবে না।
উথলী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম.হাসানুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা তালিমুল কুরআন বিভাগের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন, জেলা মাজলিসুল মুফাসসিরিনের সভাপতি হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা সাজেদুর রহমান, নায়েবে আমির মো. শাখাওয়াত হোসেন, সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।