ঝিনাইদহের ১৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৯ মাস ধরে কোনো ওষুধ নেই। ওষুধ না থাকার কারণে গ্রামাঞ্চলের মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারা ঠিকমতো বেতন পান না। মৃত্যুর পর প্রোভাইডাররা অবসর সুবিধাও পান না, ইনক্রিমেন্ট নেই। ক্লিনিকে যন্ত্রপাতি নেই। প্রোভাইডার ছাড়া ক্লিনিকে আর কোনো কর্মচারী নিয়োগ নেই। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয় বিষয়ক এক সেমিনারে কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে এসব কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপ-সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. কামরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার আসিফ কাজল, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মঞ্জুরুল কাদের, ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রিজিয়া আক্তার চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিথিলা ইসলাম, তরুণ কুমার দাস, প্রকৌশলী শামীম হোসেন, মানবাধিকার কর্মী অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বাবুল, ঝিনাইদহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবির, কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার পারভীন সুলতানা, মাজেদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান ও তানিয়া আক্তার।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যমান সমস্যা নিরসন করে যুগপোযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষ যাতে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, গর্ভবতী ও প্রসুতির স্বাস্থ্যসেবা, নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি ও ইপিআই সেবা পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে