নিজস্ব প্রতিবেদক 
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর ও আলমডাঙ্গার বেতবাড়িয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে নিহত যুবতী ও কিশোরের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ। নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ইসলামপাড়ার চাঁন মিয়ার মেয়ে বিপাসা খাতুন (২৬) ও আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নরসুন্দর সাধন দাশের ছেলে অপূর্ব দাস (১৬)।
জানা গেছে, গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে নিজ ঘরে ছেঁড়া লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় অপূর্ব দাস। শব্দ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরিবারের কারো অভিযোগ না থাকলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় সদর থানা পুলিশ। গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তার সৎকার সম্পন্ন করে।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ইসলামপাড়ার চাঁন মিয়ার মেয়ে বিপাসা খাতুন (২৬) পারিবারিক মনোমালিন্যে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এমন তথ্য জানান পরিবারের সদস্যরা। তবে মৃত্যুর পর এই আত্মহত্যার নেপথ্যে প্রেমঘটিত কারণ আছে বলে আলোচনা সৃষ্টি হয়। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছুই বলেনি। মৃত্যুর বিষয়ে বিভ্রান্তি থাকায় সদর থানা পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বেলা ১টায় ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, দুটি মৃত্যুর ঘটনাতেই থানায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়। পরিবারের সদস্যরা কোনো অভিযোগ না করলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। দুটি ঘটনায় তদন্তাধীন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
