ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুবাইয়ে কর্মস্থলেই খুন হওয়া কাজলীর দাফন সম্পন্ন

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১০৫ বার পড়া হয়েছে


আলমডাঙ্গায় কুমারী নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়েছে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে দুবাই গিয়ে খুন হওয়া কাজলী খাতুনের। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টায় তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এর আগে সকাল সাতটায় কাজলীর লাশ দুবাই থেকে বাংলাদেশ বিমান বন্দরে এসে পৌঁছায়। সন্ধ্যায় লাশবাহী গাড়ি গ্রামে পৌঁছালে পরিবার, স্বজন ও প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। কাজলী কুমারী গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক তছের আলীর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাজলী ও তার ছোট বোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখান থেকে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি ৭ মাস আগে দুবাই চলে যান। এরই মধ্যে ৬ মাস পর দুবাই থেকে গত ৬ রোজায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন কাজলী। কিন্তু পরিবারের সাথে ঈদ না করেই কর্মস্থলে ফিরে যান তিনি। এরই মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার কাজলী নিজ কর্মস্থলে খুন হন কাজলী। সুপারভাইজার লোকমান হোসেন ওরফে সাইকো বেতনের টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একটি কাঁচের বোতল দিয়ে কাজলীর মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিণ্টু বলেন, দুবাইয়ে কর্মস্থলে কোম্পানির সুপারভাইজারের হাতে কাজলী খাতুন খুন হওয়ার খবর পাওয়ার পর তার লাশ দ্রুত দেশে ফিরাতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়। ১১ দিনের মাথায় লাশ দেশে পৌঁছানোর পর জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দুবাইয়ে কর্মস্থলেই খুন হওয়া কাজলীর দাফন সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০৮:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪


আলমডাঙ্গায় কুমারী নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়েছে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে দুবাই গিয়ে খুন হওয়া কাজলী খাতুনের। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টায় তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এর আগে সকাল সাতটায় কাজলীর লাশ দুবাই থেকে বাংলাদেশ বিমান বন্দরে এসে পৌঁছায়। সন্ধ্যায় লাশবাহী গাড়ি গ্রামে পৌঁছালে পরিবার, স্বজন ও প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। কাজলী কুমারী গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক তছের আলীর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাজলী ও তার ছোট বোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখান থেকে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি ৭ মাস আগে দুবাই চলে যান। এরই মধ্যে ৬ মাস পর দুবাই থেকে গত ৬ রোজায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন কাজলী। কিন্তু পরিবারের সাথে ঈদ না করেই কর্মস্থলে ফিরে যান তিনি। এরই মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার কাজলী নিজ কর্মস্থলে খুন হন কাজলী। সুপারভাইজার লোকমান হোসেন ওরফে সাইকো বেতনের টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একটি কাঁচের বোতল দিয়ে কাজলীর মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিণ্টু বলেন, দুবাইয়ে কর্মস্থলে কোম্পানির সুপারভাইজারের হাতে কাজলী খাতুন খুন হওয়ার খবর পাওয়ার পর তার লাশ দ্রুত দেশে ফিরাতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়। ১১ দিনের মাথায় লাশ দেশে পৌঁছানোর পর জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।