ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিবনগরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১৩

প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার উপজেলার মহাজনপুর গ্রামে নির্বাচনী অফিস ভাঙা নিয়ে বিরোধে ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন কর্মী-সর্মথক জখম হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন- রফিকুল ইসলাম তোতার কর্মী ইসলাম শেখ (৬০), রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) ও আনারুল ইসলাম (৫০)। এবং আমাম হোসেন মিলুর কর্মী-সর্মথক রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭) ও হাবিবুর রহমান (২২)। আহতদের মধ্যে অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় ইসলাম শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম তোতা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমাম হোসেন মিলুর কিছু সমর্থক মহাজনপুর বাজারের আমাদের একটি অফিসে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমার ৫ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’

এদিকে আমাম হোসেন মিলু বলেন, ‘আমাদের সমর্থকরা একটি অফিস উদ্বোধনের জন্য রফিকুল ইসলাম তোতার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় তার লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় আমারও ৮ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলেই মহাজনপুর গ্রামের বাসিন্দা।’

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু ও রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি-শোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে উভয় প্রার্থী একে অপরকে দোষারোপ করছেন। ঘটনাস্থলে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত আব্দুস সাত্তার ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুজিবনগরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১৩

আপলোড টাইম : ০৯:০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার উপজেলার মহাজনপুর গ্রামে নির্বাচনী অফিস ভাঙা নিয়ে বিরোধে ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন কর্মী-সর্মথক জখম হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন- রফিকুল ইসলাম তোতার কর্মী ইসলাম শেখ (৬০), রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) ও আনারুল ইসলাম (৫০)। এবং আমাম হোসেন মিলুর কর্মী-সর্মথক রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭) ও হাবিবুর রহমান (২২)। আহতদের মধ্যে অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় ইসলাম শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম তোতা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমাম হোসেন মিলুর কিছু সমর্থক মহাজনপুর বাজারের আমাদের একটি অফিসে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমার ৫ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’

এদিকে আমাম হোসেন মিলু বলেন, ‘আমাদের সমর্থকরা একটি অফিস উদ্বোধনের জন্য রফিকুল ইসলাম তোতার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় তার লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় আমারও ৮ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলেই মহাজনপুর গ্রামের বাসিন্দা।’

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু ও রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি-শোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে উভয় প্রার্থী একে অপরকে দোষারোপ করছেন। ঘটনাস্থলে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত আব্দুস সাত্তার ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।