ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়ুলগাছিতে ধান কাটা শুরু

উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

খালেকুজ্জামান, কুড়ুলগাছি:
  • আপলোড টাইম : ১০:২৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে ইরি (বোরো) ধান কাটা শুরু হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই কুড়ুলগাছি মাঠপাড়ার আবু কাইজার, মনিরুল, হায়দার আলীসহ অনেকেই ধান কেটেছেন। এবছর রোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় ইরি (বোরো) ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। তবে ধানের দাম কম। আর উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা।

কুড়ুলগাছির কৃষক হায়দার আলী বলেন, আমি লাভের আশায় এ মৌসুমে তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে ধান চাষ করেছি। ধান মোটামুটি ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২২-২৫ মণ ফলন হবে বলে আশা করছি। তবে এ বছর চাষ, সেচ, সার ও কীটনাশক খরচ বেশি হয়েছে। তাই লাভ তো দূরের কথা, দোকানের দেনাই শোধ হবে না। কারণ বর্গাচাষীকে জমির মালিককে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। সেচ খরচ তিন হাজার, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা ব্যয়। ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, কৃষিতে খরচ বেড়েছে। প্রান্তিক, বর্গা আর গরীব কৃষকদের হাতে কিন্তু টাকা-পয়সা নেই। তাই কৃষি বিভাগের উচিত সরাসরি মাঠে গিয়ে তাদের একটি তালিকা করে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। তারা যাতে প্রণোদনা পান তা নিশ্চিত করা। নাহলে ধান চাষে আগ্রহ হারাবে কৃষকরা। দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ। তাই কৃষকদের বাঁচাতে সার কীটনাশকসহ কৃষিপণ্যের দাম কমাতে হবে।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে এবার ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭২৫ মেট্টিক টন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কুড়ুলগাছিতে ধান কাটা শুরু

উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

আপলোড টাইম : ১০:২৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে ইরি (বোরো) ধান কাটা শুরু হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই কুড়ুলগাছি মাঠপাড়ার আবু কাইজার, মনিরুল, হায়দার আলীসহ অনেকেই ধান কেটেছেন। এবছর রোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় ইরি (বোরো) ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। তবে ধানের দাম কম। আর উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা।

কুড়ুলগাছির কৃষক হায়দার আলী বলেন, আমি লাভের আশায় এ মৌসুমে তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে ধান চাষ করেছি। ধান মোটামুটি ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২২-২৫ মণ ফলন হবে বলে আশা করছি। তবে এ বছর চাষ, সেচ, সার ও কীটনাশক খরচ বেশি হয়েছে। তাই লাভ তো দূরের কথা, দোকানের দেনাই শোধ হবে না। কারণ বর্গাচাষীকে জমির মালিককে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। সেচ খরচ তিন হাজার, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা ব্যয়। ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, কৃষিতে খরচ বেড়েছে। প্রান্তিক, বর্গা আর গরীব কৃষকদের হাতে কিন্তু টাকা-পয়সা নেই। তাই কৃষি বিভাগের উচিত সরাসরি মাঠে গিয়ে তাদের একটি তালিকা করে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। তারা যাতে প্রণোদনা পান তা নিশ্চিত করা। নাহলে ধান চাষে আগ্রহ হারাবে কৃষকরা। দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ। তাই কৃষকদের বাঁচাতে সার কীটনাশকসহ কৃষিপণ্যের দাম কমাতে হবে।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে এবার ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭২৫ মেট্টিক টন।