ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনিয়মের অভিযোগের তথ্য না দিয়েই বিদায় নিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান!

গাংনী অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

oplus_2

গাংনী উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করেন এক গণমাধ্যমকর্মী। তবে তথ্য না দিয়েই বিদায় নিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক। গতকাল রোববার ছিল তার শেষ কর্মদিবস। গাংনী উপজেলায় কর্মরত ওই সংবাদকর্মঅ উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তরে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তিনি তথ্য দেননি। তথ্য প্রদানে সহায়তা না করায় সেই অনিয়মের বিষয়গুলো আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

      জানা গেছে, এমএ খালেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা পরিষদের দৈনন্দিন কর্ম সম্পাদন ও প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারি অনুদান খেলার সামগ্রী প্রদান, সংস্কার কাজ ও ফলকর গাছ টেন্ডার দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয়ের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ফুটবল কেনার ক্ষেত্রে খরচ করা হয়েছে এমন গুঞ্জন ছিল উপজেলা পাড়াজুড়ে।  এসব বিষয়ে প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ২০২০-২০২১ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের যাবতীয় আয় ব্যয়ের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেন।

আরো জানা গেছে, আবেদনপত্রটি অফিশিয়াল সীল মোহর দিয়ে গ্রহণ করা হলেও তার কোন জবাব দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, উপজেলা পরিষদের প্রতিটি প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। একজন কর্মচারীর জোগসাজসে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হলেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্যরা। ভুয়া বিল ভাউচার করার অভিযোগও রয়েছে। প্রতিটি ভিন্ন মাদ্রাসায় বেঞ্চ সরবরাহ করার সময় প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর নিলেও বেঞ্চ সরবরাহ করা হয়েছে তার অর্ধেক।

এদিকে, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান প্রথম আবেদনে তথ্য না দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল এবং সেখানে তথ্য না পেলে তথ্য কমিশনে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ওই তথ্যের জন্য আবেদন করবেন বলে জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অনিয়মের অভিযোগের তথ্য না দিয়েই বিদায় নিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান!

আপলোড টাইম : ১০:৩১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

গাংনী উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করেন এক গণমাধ্যমকর্মী। তবে তথ্য না দিয়েই বিদায় নিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক। গতকাল রোববার ছিল তার শেষ কর্মদিবস। গাংনী উপজেলায় কর্মরত ওই সংবাদকর্মঅ উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তরে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তিনি তথ্য দেননি। তথ্য প্রদানে সহায়তা না করায় সেই অনিয়মের বিষয়গুলো আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

      জানা গেছে, এমএ খালেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা পরিষদের দৈনন্দিন কর্ম সম্পাদন ও প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারি অনুদান খেলার সামগ্রী প্রদান, সংস্কার কাজ ও ফলকর গাছ টেন্ডার দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয়ের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ফুটবল কেনার ক্ষেত্রে খরচ করা হয়েছে এমন গুঞ্জন ছিল উপজেলা পাড়াজুড়ে।  এসব বিষয়ে প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ২০২০-২০২১ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের যাবতীয় আয় ব্যয়ের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেন।

আরো জানা গেছে, আবেদনপত্রটি অফিশিয়াল সীল মোহর দিয়ে গ্রহণ করা হলেও তার কোন জবাব দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, উপজেলা পরিষদের প্রতিটি প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। একজন কর্মচারীর জোগসাজসে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হলেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্যরা। ভুয়া বিল ভাউচার করার অভিযোগও রয়েছে। প্রতিটি ভিন্ন মাদ্রাসায় বেঞ্চ সরবরাহ করার সময় প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর নিলেও বেঞ্চ সরবরাহ করা হয়েছে তার অর্ধেক।

এদিকে, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান প্রথম আবেদনে তথ্য না দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল এবং সেখানে তথ্য না পেলে তথ্য কমিশনে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ওই তথ্যের জন্য আবেদন করবেন বলে জানান।