ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকের দেড়শ ধরন্ত পেয়ারাগাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের এক হতদরিদ্র কৃষকের দেড়শ ধরন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গত শনিবার বিকেলে ওই গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামের সাথে তার ভাই মসলেম উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এরই জের ধরে বিকেলে মসলেম উদ্দিন তার সহযোগীদের নিয়ে কৃষক শহিদুলের ৯ শতক জমির দেড়শ ধরন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দেয়। এছাড়াও তার ১৪ শ জমিতে বপন করা দেড় মাস বসয়ী মাসকলাই’র জমি চষে দিয়ে দখল করে নিয়েছে মসলেম উদ্দিন। জমি থেকে সম্প্রতি পেয়ারা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জমিতে আমি অনেক কষ্ট করে পেয়ারা লাগিয়েছিলাম। পেয়ারা গাছের বয়স ৩ বছর। কিছুদিন হলো আমি পেয়ারা বিক্রি শুরু করেছি। এটা আমার একমাত্র আয়ের উৎস। শত্রুতা করে আমার গাছগুলো কেটে দিয়েছে। আমি এর শাস্তি দাবি করছি।’ এ ব্যাপারে গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে ধরন্ত গাছগুলো কেটে ফেলা খুবই অন্যায় হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, কাটা গাছ নিয়ে একজন থানায় অভিযোগ দিতে এসেছিলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। এলাকায় পুলিশ পাঠানোর পর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কৃষকের দেড়শ ধরন্ত পেয়ারাগাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের এক হতদরিদ্র কৃষকের দেড়শ ধরন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গত শনিবার বিকেলে ওই গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামের সাথে তার ভাই মসলেম উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এরই জের ধরে বিকেলে মসলেম উদ্দিন তার সহযোগীদের নিয়ে কৃষক শহিদুলের ৯ শতক জমির দেড়শ ধরন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দেয়। এছাড়াও তার ১৪ শ জমিতে বপন করা দেড় মাস বসয়ী মাসকলাই’র জমি চষে দিয়ে দখল করে নিয়েছে মসলেম উদ্দিন। জমি থেকে সম্প্রতি পেয়ারা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জমিতে আমি অনেক কষ্ট করে পেয়ারা লাগিয়েছিলাম। পেয়ারা গাছের বয়স ৩ বছর। কিছুদিন হলো আমি পেয়ারা বিক্রি শুরু করেছি। এটা আমার একমাত্র আয়ের উৎস। শত্রুতা করে আমার গাছগুলো কেটে দিয়েছে। আমি এর শাস্তি দাবি করছি।’ এ ব্যাপারে গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে ধরন্ত গাছগুলো কেটে ফেলা খুবই অন্যায় হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, কাটা গাছ নিয়ে একজন থানায় অভিযোগ দিতে এসেছিলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। এলাকায় পুলিশ পাঠানোর পর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।