ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়ুলগাছি সদাবরীর মিকাইলের রহস্যজনক মৃত্যু

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মিকাইল হোসেন ভালোবেসে বিয়ে করেন নাটুদাহ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রূপসী খাতুনের সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে একটি সন্তান। এদিকে বিয়ের পর থেকেই মিকাইল ছাতিয়ানতলা গ্রামে বসবাস করতেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাতিয়ানতলা গ্রাম থেকে খবর আসে মিকাইল বিষপান করেছেন। পরে মিকাইলের পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, মিকাইল মারা গেছেন। তারা গিয়ে মরদেহ সদাবরী গ্রামে নিয়ে আসে। মিকাইলের শ্বশুর পক্ষের লোকজন বিষপানে আত্মহত্যার দাবি করলেও তার মরদেহ দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

মিকাইলের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক করা হচ্ছে। এর আগেও তারা একবার আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এবার তারা সত্যিই মেরে দিলো। আমার ছেলেকে তারা মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।’

স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, মিকাইলের স্ত্রী রূপসীর প্রথমে সদাবরী গ্রামে বিয়ে হয় তার খালাতো ভাইয়ের সাথে। পরে তাদের ডিভোর্স হলে মিকাইলের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেন। রূপসী বিভিন্ন ছেলের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে। রূপসীর মোবাইলের তথ্য বের করলেই বেরিয়ে আসতে পারে মিকাইলের মৃত্যুর অজানা কারণ।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, মিকাইলের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (আজ) তার ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মিকাইলের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কুড়ুলগাছি সদাবরীর মিকাইলের রহস্যজনক মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১০:১৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মিকাইল হোসেন ভালোবেসে বিয়ে করেন নাটুদাহ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রূপসী খাতুনের সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে একটি সন্তান। এদিকে বিয়ের পর থেকেই মিকাইল ছাতিয়ানতলা গ্রামে বসবাস করতেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাতিয়ানতলা গ্রাম থেকে খবর আসে মিকাইল বিষপান করেছেন। পরে মিকাইলের পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, মিকাইল মারা গেছেন। তারা গিয়ে মরদেহ সদাবরী গ্রামে নিয়ে আসে। মিকাইলের শ্বশুর পক্ষের লোকজন বিষপানে আত্মহত্যার দাবি করলেও তার মরদেহ দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

মিকাইলের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক করা হচ্ছে। এর আগেও তারা একবার আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এবার তারা সত্যিই মেরে দিলো। আমার ছেলেকে তারা মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।’

স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, মিকাইলের স্ত্রী রূপসীর প্রথমে সদাবরী গ্রামে বিয়ে হয় তার খালাতো ভাইয়ের সাথে। পরে তাদের ডিভোর্স হলে মিকাইলের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেন। রূপসী বিভিন্ন ছেলের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে। রূপসীর মোবাইলের তথ্য বের করলেই বেরিয়ে আসতে পারে মিকাইলের মৃত্যুর অজানা কারণ।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, মিকাইলের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (আজ) তার ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মিকাইলের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।