ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার পারকুলায় এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গার পারকুলা গ্রামে চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে ভুক্তভোগী পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে তারা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামের মিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা ৯ বছর আগে একই এলাকার সাহাবুদ্দিন সাবুর নিকট থেকে ৩ দশমিক ৩২ শতক জমি কেনেন। সাহাবুদ্দিন সাবুর আরএস খতিয়ানের ৪৬ নম্বর দাগের ২২ শতক জমির মধ্যে ৩ দশমিক ৩২ শতক জমির উত্তর পাশে রাস্তা দেখিয়ে তিনি বিক্রি করেন। তবে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক আবু হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে সাবু দুই পক্ষকে ডেকে ওই জমির পিছন ইসমাইলের বের হওয়া রাস্তার দিক থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা বের করে দেন সোহেল রানার পরিবারকে। ৪ বছর যাবৎ ওই রাস্তা ব্যবহার করছে সোহেল রানা তার পরিবারের লোকজন। এরমধ্যে আরেক প্রতিবেশী মৃত আরশেদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন গত তিন মাস যাবৎ রাস্তা নিয়ে ঝামেলা শুরু করে। এ নিয়ে দফায় দফায় স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বৈঠক হয়। বৈঠকে ইসমাইলের জমির মধ্যে সরকারি খাস জমিতে রাস্তা বের করার সিদ্ধান্ত দেয়। তবুও ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন তাদের যাতায়াত করতে দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে গতকাল সোমবার সকালে ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন ইটের প্রাচীল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমন অমানবিক কাজের জন্য এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার পারকুলায় এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:৪১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

আলমডাঙ্গার পারকুলা গ্রামে চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে ভুক্তভোগী পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে তারা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামের মিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা ৯ বছর আগে একই এলাকার সাহাবুদ্দিন সাবুর নিকট থেকে ৩ দশমিক ৩২ শতক জমি কেনেন। সাহাবুদ্দিন সাবুর আরএস খতিয়ানের ৪৬ নম্বর দাগের ২২ শতক জমির মধ্যে ৩ দশমিক ৩২ শতক জমির উত্তর পাশে রাস্তা দেখিয়ে তিনি বিক্রি করেন। তবে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক আবু হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে সাবু দুই পক্ষকে ডেকে ওই জমির পিছন ইসমাইলের বের হওয়া রাস্তার দিক থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা বের করে দেন সোহেল রানার পরিবারকে। ৪ বছর যাবৎ ওই রাস্তা ব্যবহার করছে সোহেল রানা তার পরিবারের লোকজন। এরমধ্যে আরেক প্রতিবেশী মৃত আরশেদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন গত তিন মাস যাবৎ রাস্তা নিয়ে ঝামেলা শুরু করে। এ নিয়ে দফায় দফায় স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বৈঠক হয়। বৈঠকে ইসমাইলের জমির মধ্যে সরকারি খাস জমিতে রাস্তা বের করার সিদ্ধান্ত দেয়। তবুও ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন তাদের যাতায়াত করতে দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে গতকাল সোমবার সকালে ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন ইটের প্রাচীল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমন অমানবিক কাজের জন্য এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।