সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পথসভা, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। গতকাল শনিবার বেলা তিনটায় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিগড়ী হেলিপ্যাডপাড়ায় উঠান বৈঠক করেন তিনি। পরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মাখালডাঙ্গায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন।

উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগকালে রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি পা-ফাটা, গা-ফাটা মানুষের সুখের জন্য নৌকা প্রতীক নিয়ে সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিলেন একটি লাল-সবুজের পতাকা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আর সেই আওয়ামী লীগের প্রতীক হচ্ছে নৌকা। সেই নৌকার হাল ধরে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের উন্নত শিখরে পৌঁছে নিয়ে এসেছেন। এখন আমাদের সেই উন্নয়নকে ধরে রাখতে হলে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের জাদুকর শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মজনুল হক পঁচা, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

মাখালডাঙ্গায় পথসভা ও গণসংযোগকালে রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, এই ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় আমার মা-বোনেরা, আমার ভাই ও ছেলেরা, আমার যুবক তরুণ পেশাজীবী ভাইয়েরা শেখ হাসিনার উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়ে আজকে রাস্তায় নেমে এসেছে। আপনারা পথসভাকে জনসভায় রূপ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার দেশব্যাপী অনেক উন্নয়ন করেছে। আমাদেরকে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকা, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ভাইয়ের মার্কা নৌকা। দেশ যা উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ করকারই করেছে। এসময় তিনি সকলকে সালাম জানিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান। এছাড়াও তিনি আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোটের বিপ্লব ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশেদ উদ্দিন আহমেদ চন্দন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ শাজাহান আলী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহাবুবুল হক সেলিম, মাখালাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ সরকার, সোহাগসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সকল নেতাকর্মীবৃন্দ।