ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলফনামা: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ছয় ব্যবসায়ীর প্রতিদ্বন্দ্বী এক আইনজীবী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭ প্রার্থীর মধ্যে একজন আইনজীবী ছাড়া বাকি ৬ জনই পেশায় ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, এনপিপি, জাকের পার্টিসহ আরও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এবারের নির্বাচনে। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামায় তাঁদের বার্ষিক আয় এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন। এ প্রতিবেদনে প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে তাঁদের সম্পদের পরিমাণসহ খুটিনাটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

এমপি টগরের বেড়েছে আয়, স্ত্রীর বেড়েছে ১০ গুন সম্পদ

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। এবারের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। তিনি এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যখন তিনি প্রথম নির্বাচন করেন, তখন তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৫০৫ টাকা। সে সময় তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৮ টাকা। বর্তমানে নগদ টাকাসহ তিনি ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ২৩৪ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। তাঁর বর্তমান বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৯১৪ টাকা।

১৫ বছরে ১০ গুন সম্পদ বেড়েছে তাঁর স্ত্রীর। ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর নগদ ২০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৯ টাকাসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯ টাকার। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ১১ কোটি ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ১২৫ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। এছাড়া ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো ভবন না থাকলেও বর্তমানে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বহুতল পাঁচটি ভবন রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় আলী আজগার টগর বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, কৃষিখাত থেকে ৪১ হাজার ২২৫ টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬১০ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত বাবদ ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৯ টাকা, একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সেখান থেকে আয় ২ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী-ভাতা ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৬ টাকা ও গাড়ি বিক্রয়ের মূলধনী লাভ ৭৬ হাজার ৩৬৭ টাকা।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে নগদ ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৯০ টাকা। এছাড়া ব্যাংকে জমা আছে ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৪৪ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ২৩ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকা, বাস, ট্রাক, যানবাহন থেকে আয় ১ কোটি ২৫ লাখ ৬১ হাজার ১৪৭ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ২১ লাখ ১১ হাজার ৩১৩ টাকা, একক মালিকানাধীন ব্যবসা ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৪ টাকা ও শিপিং পরিবহন ডিজাইন ফিস বাবদ ২০ লাখ টাকা।

এছাড়া তাঁর স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি ২৮৬.৭০ শতাংশ, যার মূল্য ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ টাকা, অকৃষি জমি ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৫ টাকা, ঢাকায় ৭ তলা দালান ১ কোটি ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৩ টাকা এবং ঢাকার সাভারে ৯ তলা দালান বাড়ি, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকা।

তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ৬৬ হাজার ১৩ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৫২ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ১ কোটি ৩৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৪ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩ লাখ ২৫ হাজার ১০০ টাকা, আসবাবপত্র ২ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ও ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৩২৬ টাকা।

এছাড়া তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ অকৃষি জমি ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৫ টাকা, ঢাকায় ৭ তলা দালান ৭১ লাখ ১৬ হাজার ২০৮ টাকার, দর্শনায় ৪ তলা বাণিজ্যিক দালান ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা, দর্শনায় ৩ তলা দালান ১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৪৬৯ টাকা, ঢাকায় ফ্ল্যাট ২ কোটি ৬০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং ঢাকায় ৭ তলা দালান, যার মূল্য ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ টাকা।

২০০৮ সালে যখন তিনি নির্বাচন করেন, তখন তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় ছিল ২৪ হাজার ৫৬০ টাকা, ব্যবসা থেকে ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সে সময় স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৮ টাকার।

এরপর ২০১৪ সালে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৮ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় হয় ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪০ টাকা। ওই সময় তাঁর হাতে নগদ ছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৭২০ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ টাকা। এই টাকাসহ তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৮৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫১ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৪ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ টাকা। ওই সময় তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় হয় ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া বাড়ি ভাড়া ৯৩ হাজার টাকা, ব্যবসা ৩৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯৬ টাকা, চাকরি (২০১৮ সালের হলফনামায় শুধুমাত্র চাকরি বলেই উল্লেখ আছে।) ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ব্যাংক সুদ ২৩ হাজার ৭৫৪ টাকা ও সাংসদ হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৪ টাকা।

এছাড়া অস্থাবর সম্পদ ছিল নগদ ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৭ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ২৩ লাখ টাকা, বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ির ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৭ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ও ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ টাকা। এছাড়া স্থাবর সম্পদ কৃষিজমি ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ টাকা, অকৃষি জমি ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৫ টাকা ও ৭ তলা বিল্ডিং ৮৫ লাখ ১৯৩ টাকা।

এদিকে, ২০১৮ সালে তাঁর স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৫ টাকা। নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়- নগদ টাকা ৬ লাখ ২৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ৮১ হাজার ৮৬ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩০ টাকা, বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ির ২১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্র ২ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ও ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ১৩ টাকা। এছাড়া স্থাবর সম্পদ অকৃষি জমি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা, ৭তলা বিল্ডিং ৮৫ লাখ ১৯৩ টাকা ও অ্যাপার্টমেন্ট ২ কোটি ৬০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

কোটি টাকার মালিক হাশেম রেজা, বছরে আয় ৬০ লাখ টাকা

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি প্রায় কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তাঁর বার্ষিক আয় ৬০ লাখ টাকা। হলফনামায় তিনি সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন এল.এল.এম। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। এছাড়া তিনি দুটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা, সারের ডিলার, কাগজ আমদানি, গাড়িসহ অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে।

আবু হাশেম রেজা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের মো. ছাব্দার আলীর ছেলে। ব্যবসা ও পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রকাশক হওয়ায় ঢাকাতেই তার পরিবার নিয়ে বসবাস। নেই তেমন কোনো অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ। স্ত্রীর আছে শুধু ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। মোটা অংকের আয় আসে ব্যবসা থেকে। আয় করেন বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেও রয়েছেন দীর্ঘ দিন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদেও করেছেন দায়িত্ব পালন। আবু হাশেম রেজা আওয়ামী লীগ থেকেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর হলফনামা থেকে জানা যায়, ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ঋণ নেননি। ঋণের দায় থেকে তিনি মুক্ত আছেন। ঢাকাতে অভিজাত এলাকায় স্থাবর সম্পদ রয়েছে তাঁর। চারটি ফ্লাট রয়েছে। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অকৃষি জমি, কৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালানসহ অন্য কোনো কিছুই নেই। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামেও স্থাবর সম্পদ নেই কোথাও।

তাঁর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ২১০ টাকার। স্ত্রীর আছে শুধু ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২৬ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র রয়েছে ২৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪৬ টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, প্রাইভেটকার তিনটি ও দুটি ট্রাক, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪ টাকা। স্ত্রীর নগদ ও ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। নেই আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী। শুধু আছে ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। নেই গাড়ি-বাড়িও। বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া পান বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে সর্বোচ্চ আয় করেন বছরে ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ৬১৩ টাকা। স্ত্রীর কোনো আয় নেই বছরে।

আবু হাশেম রেজার নামে একটি মামলা চলমান থাকলেও দুটি মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন। দামুড়হুদা আমলি আদালতে ১৪৩/৩২৩/৩৪১/৫০৬ ধারায় পেনাল কোডে মামলা চলমান রয়েছে। দামুড়হুদা ও দর্শনা আমলী আদালতের দুটি মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন।

নুর হাকিমের আয়ের একমাত্র উৎস ব্যবসা, নেই বাড়ি-গাড়ি

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুর হাকিম। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছীর মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু দলীয় প্রার্থী হতে না পেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। যদিও যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে গতকাল মঙ্গলবার তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

নুর হাকিমের বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস ব্যবসা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে তিনি ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৮ টাকার মালিক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দেয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এছাড়া তাঁর নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ব্যাংকে জমা ২ লাখ ২ হাজার ৬০০ টাকা, ৪০ তোলা স্বর্ণ, আসবাবপত্র ৫৫ হাজার টাকা ও  ব্যবসায় বিনিয়োগ ৩০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৮ টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে শুধুমাত্র একটি নির্মাণাধীন অ্যাপার্টমেন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। যার মূল্য ৭০ হাজার টাকা। তাছাড়া হলফনামায় তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদকের কথা উল্লেখ করেননি।

কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল লতিফ খানের বার্ষিক আয় ২৫ লাখ ৫২ হাজার ২২৭ টাকা। তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আব্দুল লতিফ খান পেশায় ব্যবসায়ী। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী আব্দুল লতিফ খান ব্যবসা থেকে বছরে ২৫ লাখ ৫২ হাজার ২২৭ টাকা ও তাঁর স্ত্রীর ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করেন। নিজ নামে ব্যাংকে জমা ১ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৮ টাকা, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অন্যান্য ৪ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২ টাকাসহ তাঁর মোট ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৯০ টাকা ও ৪০ তোলা স্বর্ণ অস্থাবর সম্পদ আছে।

আব্দুল লতিফ খানের থেকে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেশি। তাঁর স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৩০০ টাকা, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার, আসবাবপত্র ১ লাখ ৬০ হাজার, প্রাইম কার্ড ৫০ হাজার ও ৭০ তোলা স্বর্ণ অস্থাবর সম্পদ আছে। স্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে মূল্যের পরিমাণ উল্লেখ না করা হলেও আব্দুল লতিফ খানের নিজ নামে ৬ দশমিক ৫০ শতক ও স্ত্রীর নামে ০ দশমিক ৫০ শতক অকৃষি জমি আছে। তার নামে উত্তরা ব্যাংকে ১ কোটি টাকার ঋণ আছে। তার নামে মামলা নেই। তিনি এমএ উত্তীর্ণ।

এনপিপি মনোনীত ইদ্রিস চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা

চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ দুটি আসনেই এনপিপি মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ। হলফনামায়, এনপিপি মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরীর কৃষিখাত থেকে ৭৫ হাজার টাকা ও ব্যবসা খাত থেকে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে। স্থাবর সম্পদ বলতে পৈত্রিক সূত্রে তিন ভাই-বোনদের কাছ থেকে কেনা ১ লাখ টাকার কৃষি জমি এবং অস্থাবর সম্পদ নগদ ১৭ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ইক্ট্রেনিক সামগ্রী ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি হলফনামায় স্বশিক্ষিত বলে জানিয়েছেন। তাঁর নামে কোনো মামলা এবং ঋণ নেই।

জাতীয় পার্টির রবিউলের ২০ ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা

জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলামের বার্ষিক আয় ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পারিমাণ ৩৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। হলফনামায় জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলামের আইন পেশা থেকে ২ লাখ টাকা ও বাড়ি ভাড়া থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে। স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও রবিউল ইসলাম ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক।

তাঁর স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৯ লাখ টাকা মূল্যের এক একর কৃষি জমি, ২০ হাজার টাকা মূল্যের (দশমিক) .৩৪ একর অকৃষি জমিসহ ২০ লাখ টাকার বাড়ি দেখানো হয়েছে। রবিউল ইসলামের নিজ নামে নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৫১ হাজার, ব্যাংকে ৫১ হাজার টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণ, যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। তার কোনো ঋণ ও মামলা নেই। তিনি বি.কম ও এল.এল.বি উত্তীর্ণ।

১৩ লাখ টাকা নিয়ে নির্বাচনে জাসদের দেওয়ান ইয়াসিন উল্লাহ

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তিনি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা ও ১০ তোলা স্বর্ণের অস্থাবর সম্পদের মালিক। হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহর কৃষি খাত থেকে ১৫ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ৮৪ হাজার টাকা ও ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ টাকা।

দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহর স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও নিজ নামে নগদ ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৭০০, মোটরগাড়ি ৫০ হাজার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ৭৫ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৬৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণ ১০ তোলা অস্থাবর সম্পদ আছে। স্থাবর সম্পদের মূল্যের তথ্য না থাকলেও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১ একর ১৫ কাঠা কৃষি জমি, অকৃষি জমি ১৩৫০ শতক, ২ শতক ক্রয় সূত্রে অকৃষি জমি, পৈত্রিক বাড়ি ও ১৬২৪ বর্গফুটের গোডাউন আছে তাঁর। সোনালী ব্যাংক সরোজগঞ্জ শাখায় ১ লাখ ও কৃষি ব্যাংক বদরগঞ্জ শাখায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭শ টাকা ঋণ আছে। তাঁর নামে কোনো মামলা নেই। তিনি এমএম উত্তীর্ণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হলফনামা: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ছয় ব্যবসায়ীর প্রতিদ্বন্দ্বী এক আইনজীবী

আপলোড টাইম : ১১:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭ প্রার্থীর মধ্যে একজন আইনজীবী ছাড়া বাকি ৬ জনই পেশায় ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, এনপিপি, জাকের পার্টিসহ আরও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এবারের নির্বাচনে। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামায় তাঁদের বার্ষিক আয় এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন। এ প্রতিবেদনে প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে তাঁদের সম্পদের পরিমাণসহ খুটিনাটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

এমপি টগরের বেড়েছে আয়, স্ত্রীর বেড়েছে ১০ গুন সম্পদ

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। এবারের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। তিনি এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যখন তিনি প্রথম নির্বাচন করেন, তখন তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৫০৫ টাকা। সে সময় তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৮ টাকা। বর্তমানে নগদ টাকাসহ তিনি ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ২৩৪ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। তাঁর বর্তমান বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৯১৪ টাকা।

১৫ বছরে ১০ গুন সম্পদ বেড়েছে তাঁর স্ত্রীর। ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর নগদ ২০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৯ টাকাসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯ টাকার। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ১১ কোটি ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ১২৫ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। এছাড়া ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো ভবন না থাকলেও বর্তমানে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বহুতল পাঁচটি ভবন রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় আলী আজগার টগর বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, কৃষিখাত থেকে ৪১ হাজার ২২৫ টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬১০ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত বাবদ ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৯ টাকা, একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সেখান থেকে আয় ২ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী-ভাতা ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৬ টাকা ও গাড়ি বিক্রয়ের মূলধনী লাভ ৭৬ হাজার ৩৬৭ টাকা।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে নগদ ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৯০ টাকা। এছাড়া ব্যাংকে জমা আছে ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৪৪ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ২৩ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকা, বাস, ট্রাক, যানবাহন থেকে আয় ১ কোটি ২৫ লাখ ৬১ হাজার ১৪৭ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ২১ লাখ ১১ হাজার ৩১৩ টাকা, একক মালিকানাধীন ব্যবসা ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৪ টাকা ও শিপিং পরিবহন ডিজাইন ফিস বাবদ ২০ লাখ টাকা।

এছাড়া তাঁর স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি ২৮৬.৭০ শতাংশ, যার মূল্য ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ টাকা, অকৃষি জমি ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৫ টাকা, ঢাকায় ৭ তলা দালান ১ কোটি ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৩ টাকা এবং ঢাকার সাভারে ৯ তলা দালান বাড়ি, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকা।

তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ৬৬ হাজার ১৩ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৫২ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ১ কোটি ৩৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৪ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩ লাখ ২৫ হাজার ১০০ টাকা, আসবাবপত্র ২ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ও ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৩২৬ টাকা।

এছাড়া তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ অকৃষি জমি ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৫ টাকা, ঢাকায় ৭ তলা দালান ৭১ লাখ ১৬ হাজার ২০৮ টাকার, দর্শনায় ৪ তলা বাণিজ্যিক দালান ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা, দর্শনায় ৩ তলা দালান ১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৪৬৯ টাকা, ঢাকায় ফ্ল্যাট ২ কোটি ৬০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং ঢাকায় ৭ তলা দালান, যার মূল্য ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ টাকা।

২০০৮ সালে যখন তিনি নির্বাচন করেন, তখন তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় ছিল ২৪ হাজার ৫৬০ টাকা, ব্যবসা থেকে ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সে সময় স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৮ টাকার।

এরপর ২০১৪ সালে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৮ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় হয় ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪০ টাকা। ওই সময় তাঁর হাতে নগদ ছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৭২০ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ টাকা। এই টাকাসহ তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৮৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫১ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৪ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ টাকা। ওই সময় তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় হয় ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া বাড়ি ভাড়া ৯৩ হাজার টাকা, ব্যবসা ৩৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯৬ টাকা, চাকরি (২০১৮ সালের হলফনামায় শুধুমাত্র চাকরি বলেই উল্লেখ আছে।) ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ব্যাংক সুদ ২৩ হাজার ৭৫৪ টাকা ও সাংসদ হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৪ টাকা।

এছাড়া অস্থাবর সম্পদ ছিল নগদ ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৭ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ২৩ লাখ টাকা, বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ির ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৭ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ও ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ টাকা। এছাড়া স্থাবর সম্পদ কৃষিজমি ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ টাকা, অকৃষি জমি ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৫ টাকা ও ৭ তলা বিল্ডিং ৮৫ লাখ ১৯৩ টাকা।

এদিকে, ২০১৮ সালে তাঁর স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৫ টাকা। নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়- নগদ টাকা ৬ লাখ ২৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ৮১ হাজার ৮৬ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩০ টাকা, বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ির ২১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্র ২ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ও ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ১৩ টাকা। এছাড়া স্থাবর সম্পদ অকৃষি জমি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা, ৭তলা বিল্ডিং ৮৫ লাখ ১৯৩ টাকা ও অ্যাপার্টমেন্ট ২ কোটি ৬০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

কোটি টাকার মালিক হাশেম রেজা, বছরে আয় ৬০ লাখ টাকা

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি প্রায় কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তাঁর বার্ষিক আয় ৬০ লাখ টাকা। হলফনামায় তিনি সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন এল.এল.এম। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। এছাড়া তিনি দুটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা, সারের ডিলার, কাগজ আমদানি, গাড়িসহ অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে।

আবু হাশেম রেজা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের মো. ছাব্দার আলীর ছেলে। ব্যবসা ও পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রকাশক হওয়ায় ঢাকাতেই তার পরিবার নিয়ে বসবাস। নেই তেমন কোনো অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ। স্ত্রীর আছে শুধু ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। মোটা অংকের আয় আসে ব্যবসা থেকে। আয় করেন বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেও রয়েছেন দীর্ঘ দিন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদেও করেছেন দায়িত্ব পালন। আবু হাশেম রেজা আওয়ামী লীগ থেকেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর হলফনামা থেকে জানা যায়, ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ঋণ নেননি। ঋণের দায় থেকে তিনি মুক্ত আছেন। ঢাকাতে অভিজাত এলাকায় স্থাবর সম্পদ রয়েছে তাঁর। চারটি ফ্লাট রয়েছে। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অকৃষি জমি, কৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালানসহ অন্য কোনো কিছুই নেই। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামেও স্থাবর সম্পদ নেই কোথাও।

তাঁর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ২১০ টাকার। স্ত্রীর আছে শুধু ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২৬ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র রয়েছে ২৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪৬ টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, প্রাইভেটকার তিনটি ও দুটি ট্রাক, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪ টাকা। স্ত্রীর নগদ ও ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। নেই আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী। শুধু আছে ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। নেই গাড়ি-বাড়িও। বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া পান বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে সর্বোচ্চ আয় করেন বছরে ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ৬১৩ টাকা। স্ত্রীর কোনো আয় নেই বছরে।

আবু হাশেম রেজার নামে একটি মামলা চলমান থাকলেও দুটি মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন। দামুড়হুদা আমলি আদালতে ১৪৩/৩২৩/৩৪১/৫০৬ ধারায় পেনাল কোডে মামলা চলমান রয়েছে। দামুড়হুদা ও দর্শনা আমলী আদালতের দুটি মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন।

নুর হাকিমের আয়ের একমাত্র উৎস ব্যবসা, নেই বাড়ি-গাড়ি

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুর হাকিম। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছীর মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু দলীয় প্রার্থী হতে না পেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। যদিও যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে গতকাল মঙ্গলবার তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

নুর হাকিমের বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস ব্যবসা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে তিনি ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৮ টাকার মালিক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দেয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এছাড়া তাঁর নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ব্যাংকে জমা ২ লাখ ২ হাজার ৬০০ টাকা, ৪০ তোলা স্বর্ণ, আসবাবপত্র ৫৫ হাজার টাকা ও  ব্যবসায় বিনিয়োগ ৩০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৮ টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে শুধুমাত্র একটি নির্মাণাধীন অ্যাপার্টমেন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। যার মূল্য ৭০ হাজার টাকা। তাছাড়া হলফনামায় তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদকের কথা উল্লেখ করেননি।

কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল লতিফ খানের বার্ষিক আয় ২৫ লাখ ৫২ হাজার ২২৭ টাকা। তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আব্দুল লতিফ খান পেশায় ব্যবসায়ী। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী আব্দুল লতিফ খান ব্যবসা থেকে বছরে ২৫ লাখ ৫২ হাজার ২২৭ টাকা ও তাঁর স্ত্রীর ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করেন। নিজ নামে ব্যাংকে জমা ১ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৮ টাকা, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অন্যান্য ৪ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২ টাকাসহ তাঁর মোট ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৯০ টাকা ও ৪০ তোলা স্বর্ণ অস্থাবর সম্পদ আছে।

আব্দুল লতিফ খানের থেকে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেশি। তাঁর স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৩০০ টাকা, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার, আসবাবপত্র ১ লাখ ৬০ হাজার, প্রাইম কার্ড ৫০ হাজার ও ৭০ তোলা স্বর্ণ অস্থাবর সম্পদ আছে। স্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে মূল্যের পরিমাণ উল্লেখ না করা হলেও আব্দুল লতিফ খানের নিজ নামে ৬ দশমিক ৫০ শতক ও স্ত্রীর নামে ০ দশমিক ৫০ শতক অকৃষি জমি আছে। তার নামে উত্তরা ব্যাংকে ১ কোটি টাকার ঋণ আছে। তার নামে মামলা নেই। তিনি এমএ উত্তীর্ণ।

এনপিপি মনোনীত ইদ্রিস চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা

চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ দুটি আসনেই এনপিপি মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ। হলফনামায়, এনপিপি মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরীর কৃষিখাত থেকে ৭৫ হাজার টাকা ও ব্যবসা খাত থেকে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে। স্থাবর সম্পদ বলতে পৈত্রিক সূত্রে তিন ভাই-বোনদের কাছ থেকে কেনা ১ লাখ টাকার কৃষি জমি এবং অস্থাবর সম্পদ নগদ ১৭ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ইক্ট্রেনিক সামগ্রী ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি হলফনামায় স্বশিক্ষিত বলে জানিয়েছেন। তাঁর নামে কোনো মামলা এবং ঋণ নেই।

জাতীয় পার্টির রবিউলের ২০ ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা

জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলামের বার্ষিক আয় ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পারিমাণ ৩৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। হলফনামায় জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলামের আইন পেশা থেকে ২ লাখ টাকা ও বাড়ি ভাড়া থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে। স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও রবিউল ইসলাম ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক।

তাঁর স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৯ লাখ টাকা মূল্যের এক একর কৃষি জমি, ২০ হাজার টাকা মূল্যের (দশমিক) .৩৪ একর অকৃষি জমিসহ ২০ লাখ টাকার বাড়ি দেখানো হয়েছে। রবিউল ইসলামের নিজ নামে নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৫১ হাজার, ব্যাংকে ৫১ হাজার টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণ, যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। তার কোনো ঋণ ও মামলা নেই। তিনি বি.কম ও এল.এল.বি উত্তীর্ণ।

১৩ লাখ টাকা নিয়ে নির্বাচনে জাসদের দেওয়ান ইয়াসিন উল্লাহ

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তিনি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা ও ১০ তোলা স্বর্ণের অস্থাবর সম্পদের মালিক। হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহর কৃষি খাত থেকে ১৫ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ৮৪ হাজার টাকা ও ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ টাকা।

দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহর স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও নিজ নামে নগদ ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৭০০, মোটরগাড়ি ৫০ হাজার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ৭৫ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৬৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণ ১০ তোলা অস্থাবর সম্পদ আছে। স্থাবর সম্পদের মূল্যের তথ্য না থাকলেও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১ একর ১৫ কাঠা কৃষি জমি, অকৃষি জমি ১৩৫০ শতক, ২ শতক ক্রয় সূত্রে অকৃষি জমি, পৈত্রিক বাড়ি ও ১৬২৪ বর্গফুটের গোডাউন আছে তাঁর। সোনালী ব্যাংক সরোজগঞ্জ শাখায় ১ লাখ ও কৃষি ব্যাংক বদরগঞ্জ শাখায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭শ টাকা ঋণ আছে। তাঁর নামে কোনো মামলা নেই। তিনি এমএম উত্তীর্ণ।