রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

কার্পাসডাঙ্গায় ব্যাংক ম্যানেজারকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফাঁসানোর চেষ্টা

জনতার হাতে নারী আটক, পুলিশে সোপর্দ
  • আপলোড তারিখঃ ০৩-১১-২০২৫ ইং
কার্পাসডাঙ্গায় ব্যাংক ম্যানেজারকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফাঁসানোর চেষ্টা

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের ম্যানেজার খলিলকে ‘হানি ট্র‍্যাপে’ ফাঁসানোর চেষ্টা করতে গিয়ে এক যুবতী স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়েছে। পরে তাকে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা যায়, গতকাল রোববার ব্যাংক বন্ধের পর বিকেল পাঁচটার দিকে যদুপুর পারঘাটা গ্রামের শিপন আলীর মেয়ে পরিচয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী ব্যাংকের ম্যানেজার খলিলকে ফোন করে বলেন, ‘আমার বাড়ি মদনা, আমি আমার ভাবির নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলবো, আপনি আসবেন।’


এসময় ম্যানেজার খলিল ব্যাংকের নিচে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে মেয়েটি জোর করে ওপরে গিয়ে কথা বলার অনুরোধ করেন। খলিল ওপরে উঠলে কিছুক্ষণ পরেই চারজন যুবক পিছু পিছু এসে তাকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এসময় মেয়েটি ব্যাংকের ম্যানেজার খলিলের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে বলেন, “আমাকে ২ লাখ টাকা দেন, আমি সব মিটিয়ে দিচ্ছি।” ম্যানেজার খলিল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উপস্থিত এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝে ফেলে যে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। তখন স্থানীয়রা মেয়েটিকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় এবং পরে তাকে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। ফাঁড়িতে নেওয়ার পর মেয়েটি নিজের নাম-ঠিকানা একাধিকবার পরিবর্তন করতে থাকলে এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।


স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের মেয়েরা ধান্দাবাজ প্রকৃতির। তারা ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের টার্গেট করে এভাবে ফাঁদ পেতে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে। মেয়েটির শাস্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেয়েটির সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করব না, কিছুই বলব না। আপনারা এখান থেকে চলে যান।’


ব্যাংকের অফিস সহকারী শুকুর আলী বলেন, ‘ঘটনাটি পরিকল্পিত। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম, ম্যানেজার আমার সামনেই ব্যাংকের তালা খুলেছে। মেয়েটির বিচার হওয়া উচিত।’ ম্যানেজার খলিল বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। আমি মেয়েটিকে চিনিও না। সে অ্যাকাউন্ট করার কথা বলে আমাকে ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল।’


কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর রাসেল বলেন, ‘মেয়েটি ম্যানেজারকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়েছে। সবাইকে এ ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’ কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকরাম হোসেন বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে আনা হয়েছে। মেয়েটির কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে দামুড়হুদা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।



কমেন্ট বক্স
notebook

জীবননগর উপজেলা ও পৌর শ্রমিকদলের কমিটি অনুমোদন