রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

জীবননগরে সাবেক কমিশনারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

আদালতের রায় পেয়েও জমি পাননি নারী
  • আপলোড তারিখঃ ০৩-১১-২০২৫ ইং
জীবননগরে সাবেক কমিশনারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

জীবননগর পৌর শহরের এক অসহায় এতিম পরিবারের আড়াই শতক জমি গত ৪০ বছর ধরে দখল করে রেখেছেন পৌরসভার সাবেক কমিশনার আব্দুর রশিদ। আদালতের রায় তাদের পক্ষে গেলেও আজও জমিটি উদ্ধার করতে পারেননি পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য মোছা. বেবি খাতুন। বর্তমানে তিনি নানান হুমকি-ধমকির মুখে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সম্প্রতি দর্শনা প্রেসক্লাবে সংবাদকর্মীদের কাছে নিজের অসহায় অবস্থার কথা তুলে ধরেন তিনি।
বেবি খাতুন জানান, জীবননগর পৌর এলাকার মৃত জুড়ন বিশ্বাসের কন্যা নৈজান নেছা ২৫ নম্বর মৌজায় প্রায় ৪৯ শতক জমির মালিক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি এর মধ্যে আড়াই শতক জমি ভাড়া দেন কমিশনার আব্দুর রশিদের মা সাহেদা খাতুনকে। ১৯৮১ সালে নৈজান নেছার মৃত্যু হলে সুযোগ বুঝে সাহেদা খাতুন সেই জমি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নেন এবং ১৯৮২ সালে জাল দলিল তৈরি করে জমিটি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে তিনি সেই দলিলের ভিত্তিতে ছেলে আব্দুর রশিদসহ পরিবারের সদস্যদের নামে নামজারি করান। এরপর থেকেই জমিটি রশিদের পরিবারের দখলে রয়েছে।


নৈজান নেছার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা জমি ফেরত চাইলে রশিদ তা অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে ২০১৬ সালে নৈজান নেছার ভাইজি বেবি খাতুন আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর আদালত রায় দেন, বেবি খাতুনরাই জমির প্রকৃত মালিক এবং ১৯৮২ সালের দলিলটি জাল ও অবৈধ। তবে আদালতের রায় কার্যকর না করে রশিদ কমিশনার এখনো জমিটি দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন বেবি খাতুন। জমি বুঝে না পেয়ে তিনি ২০২৪ সালে পৌরসভায় জমি মাপার আবেদন করেন। পৌরসভা সার্ভেয়ার নিয়োগ করলেও মেয়র রফিকুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিবেদন গোপন রাখেন বলে অভিযোগ তার।


বেবি খাতুন আরও বলেন, সাবেক কমিশনার রশিদের বিয়াই জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক কমিশনার আপেল। তার প্রভাবেই পৌরসভায় স্বজনপ্রীতি ও অন্যায় চলছে। ২০০৭ সালে আপেল আমার পরিবারের আরও ২৫ শতক জমি দখল করেন এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন। এখনো সেই মামলায় হয়রানি সহ্য করছি।


অভিযোগের বিষয়ে সাবেক কমিশনার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমার মায়ের নামে বৈধ দলিল রয়েছে। মামলা চলমান, আদালতের রায় যা হবে তাই মানা হবে।’ এদিকে, অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বেবি খাতুন বলেন, ‘আমি এতিম, আমার কেউ নেই। আদালতের রায় পেয়েও জমি ফিরে পাইনি। এখন আমি শুধু ন্যায্য প্রাপ্য জমিটুকু ফেরত চাই।’



কমেন্ট বক্স
notebook

জীবননগর উপজেলা ও পৌর শ্রমিকদলের কমিটি অনুমোদন