চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাতগাড়ী হঠাৎপাড়ার (দক্ষিণ গোরস্থানপাড়া) চান মিয়ার বসতঘর অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনায় ঘরের সব আসবাবপত্র, পোশাক, নথিপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক মুহূর্তেই সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন চান মিয়া ও তার পরিবার। গতকাল শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ নিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চান মিয়ার পরিবারের খোঁজখবর নেন, তাদের সান্ত্বনা দেন এবং আবাস নির্মাণ ও মাস খরচের দায়িত্ব নেন। কিনে দেন হাড়ি-পাতিলসহ বভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী।
এসময় শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোই আমাদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। চান মিয়ার পরিবারের এই দুর্দশা আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের বসতঘর পুনর্নির্মাণের খরচ বহন করব। পাশাপাশি আগামী এক মাসের খাদ্যসংগ্রহ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের দায়িত্বও নিচ্ছি। দলীয়ভাবেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতা নয়, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকা। আমি চাই- চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি মানুষ যেন জানে, তারা একা নয়। জেলা বিএনপি আপদে-বিপদে সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে।’
এসময় পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক চান মিয়া অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আগুনের লেলিহান শিখায় সবকিছু হারিয়ে আমরা পথে বসেছিলাম। কোথায় যাবো, কীভাবে ঘর তুলবো, কিছুই জানতাম না। এমন সময়ে শরীফুজ্জামান শরীফ ভাই নিজে এসে যে সহানুভূতি দেখালেন, তাতে আমরা নতুন করে বাঁচার সাহস পেয়েছি। তিনি শুধু আমাদের পাশে দাঁড়াননি, আমাদের সন্তানদের মুখে আবার হাসি ফোটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গায় পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মালিক সুজন, ইয়াসিন হাসান কাকন, পৌর বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমান বজলু, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জোয়ার্দার পান্না, বিএনপি নেতা মাঈনুল হক মালিক হারুন, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি খন্দকার আরিফ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, দলীয় কর্মী এবং এলাকাবাসী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের এই মানবিক উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির মধ্যে স্বস্তি ও আশার আলো ফিরে এসেছে। তাঁর এমন উদার পদক্ষেপ কেবল চান মিয়া পরিবারেরই নয়, পুরো এলাকার মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক