দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচন ঘিরে শ্রমিকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিলেও, নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এখনো সংশয় কাটেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা কেরু জেনারেল অফিসের সভাকক্ষে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম, সহকারী পরিচালক তৌফিক হোসেন ও শ্রম কর্মকর্তা আবুল হোসেন। শ্রমিক প্রতিনিধিরা এসময় নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পেট্রোবাংলা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তাহলে আমাদের কেরু ইউনিয়নের নির্বাচন আটকে থাকবে কেন? বারবার এক পক্ষ অযথা বাধা সৃষ্টি করছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘কেরুর কর্তৃপক্ষের প্রভাবেও নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে। বিশেষ করে বাবুল আক্তার নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে কোর্টে একের পর এক পিটিশন করা হচ্ছে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ই নির্বাচনের পক্ষে। ভোটার তালিকাও প্রস্তুত রয়েছে। কয়েকজন মৃত্যুবরণ বা অবসরে গেছেন, তাদের নাম বাদ দিয়ে তালিকা প্রকাশ করে দ্রুত তফসিল ঘোষণা করা উচিত।’
তবে অপর এক পক্ষের নেতারা বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে নির্বাচন আয়োজন যৌক্তিক নয়। এখন ‘অফ সিজনাল’ সময়, অনেক শ্রমিক ও কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’ ফলে নির্বাচন ঘিরে শ্রমিকদের মধ্যে এখনো দ্বিধা ও সংশয় বিরাজ করছে।
কুষ্টিয়া শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উভয় পক্ষের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং জানান, বিষয়টি পর্যালোচনা করে শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সভায় আরও বক্তব্য দেন সদ্য সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সাবেক সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতা।
দর্শনা অফিস