বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
সর্বশেষ স্থানীয় সংবাদ জাতীয় রাজনীতি আর্ন্তজাতিক সারাদেশ অর্থনীতি খেলা বিনোদন ফ্যাক্টচেক আজকের পত্রিকা প্রযুক্তি চাকরি

দামুড়হুদার বাস্তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত দুই ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন

একই পরিবারের দুজনকে হারিয়ে দিশাহারা স্বজনরা
  • আপলোড তারিখঃ ০৫-০৭-২০২৫ ইং
দামুড়হুদার বাস্তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত দুই ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন

দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত আপন দুই ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় শেষবারের মতো এক নজর দেখতে জানাজায় ভিড় করেন হাজারো মানুষ। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুরাতন বাস্তপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পরিচালনা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান। পরে দুই ভাইকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত ইছাহাক হোসেন গোয়ালার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান মুংলা ঘাস কাটার মেশিন দিয়ে কাজ করছিলেন। এসময় মেশিনের মোটর বডি থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বড় ভাইকে পড়ে যেতে দেখে ছোট ভাই আলম হোসেন গোয়ালা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আখতারুজ্জামান মুংলাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।


একই দিনে দুই ভাইয়ের আকস্মিক ও মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পুরো গ্রাম। আখতারুজ্জামান মুংলার এক ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে সিজার (২৬) পড়াশোনা শেষ করে পারিবারিক কাজ দেখাশোনা করেন, আর মেয়ে নিশাত জাহান নিশি (১৯) রাজশাহীতে নার্সিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। অন্যদিকে ছোট ভাই আলম হোসেনের সন্তানদের বয়স এখনো কম। মেয়ে নিম খাতুন (১৬) এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন, ছেলে লামিম হোসেন (৬) পুরাতন বাস্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।


আখতারুজ্জামান মুংলার বড় ছেলে সিজার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার মতো অবস্থানে থাকলেও আলম হোসেনের সন্তানরা এখনও ছোট হওয়ায় তার পরিবার পড়েছে চরম অনিশ্চয়তায়। হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও নিহতদের চাচা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এই অস্বাভাবিক মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। দুই ভাই একসাথে চলে যাওয়ায় দুই পরিবারের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেছে। তারা ছিল সংসারের মূল ভরসা। এখন এই পরিবারগুলো কীভাবে চলবে, ছেলে-মেয়েরা কীভাবে বড় হবে, সেটা চিন্তা করতেই কষ্ট হয়।’



কমেন্ট বক্স
notebook

নৈশপ্রহরী না থাকায় নিরাপত্তাহীন দত্তনগর হাইস্কুল