দর্শনার বারাদি সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দর্শনার ৮৯ নম্বর আন্তর্জাতিক প্রধান পিলার বরাবর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এ বৈঠকে উভয় পক্ষের সীমান্ত কমান্ডাররা অংশ নেন। বাংলাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান এবং ভারতের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বিজয়পুর বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার সুজিত কুমার বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে গত বুধবার দর্শনা ঝাঁঝাঁডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবুর লাশ ফেরতের দাবি জানানো হয়। নিহত ইব্রাহিম বাবু ঝাঁঝাঁডাঙ্গা গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। তিনি সীমান্তে ঘাস কাটতে গেলে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন এবং তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা বিএসএফের প্রতি কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে একজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যদি সে সীমান্ত লঙ্ঘন করে থাকে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত। গুলি করে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিজিবির অভিযোগ ও প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ কর্মকর্তা সুজিত কুমার কোনো মন্তব্য না করে নীরব ছিলেন। তবে তারা লাশ ফেরতের বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করলেও কখন, কোন সীমান্ত দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই (বুধবার) সকালে দর্শনার ঝাঁঝাঁডাঙ্গা সীমান্তে ঘাস কাটতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ইব্রাহিম বাবু (৩০)। এরপর তার মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের কাছে লিখিতভাবে লাশ ফেরতের দাবি জানানো হয়। তবে দুই দিন পার হলেও মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়নি।