একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেরু অ্যান্ড কোং-এ দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের তদন্তে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
গত ২৮ জুন প্রকাশিত ‘দুর্নীতি আর অনিয়মে লোকসানের মুখে কেরু অ্যান্ড কোং’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এতে অভিযোগ করা হয়, অতিরিক্ত মূল্যে এবং কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়াই প্লাস্টিক বোতল কেনা হয়েছে, যার মাধ্যমে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ ও বদলির অভিযোগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের লঙ্ঘনে জড়িত কর্মকর্তাকে বদলি এবং প্রশাসনিক কর্তৃত্ব এককভাবে প্রয়োগ করার বিষয়গুলোও ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
এ অবস্থায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বে) রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রকাশিত সংবাদের তথ্যের সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা যেতে পারে।’ প্রতিবেদনটির একটি অনুলিপি সংযুক্ত করে শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনতিবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেরু অ্যান্ড কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে দেশের অন্যতম চিনি ও অ্যালকোহল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আসছে। নানা সময়েই এর পরিচালনা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তবে এবারের অভিযোগগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত এবং স্পষ্টভাবে ব্যক্ত হয়েছে একটি জাতীয় দৈনিকে।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট মহলে ধারণা করা হচ্ছে- তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের জবাবদিহির মুখে পড়তে হতে পারে।