চুয়াডাঙ্গার ঝাজরীতে পুকুরের মাছ রক্ষার জন্য বিদ্যুতের ফাঁদে জড়িয়ে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত পুকুর মালিকের দোকানঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরী গ্রামের রজব রাজাকারের ছেলে এলাকার চিহিৃৎ মাদক সম্রাট আব্বাস আলী কেরু এন্ড কোম্পানীর ঝাজরী কৃষি খামারের দুইটি পুকুর লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাছ চাষ করে আসছিলো। এই পুকুরের মাছ রক্ষার জন্য জি আই তার দিয়ে পুকুরের চারিপাশে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে রাখে। এতে শিয়াল, মেছাবিড়াল পুকুরে মাছ খেতে আসলে মারা যায়। রবিবার সকালে গরুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যায় একই গ্রামের মাঝেরপাড়ার সাহেব আলীর ছেলে চান মিয়া (২৪)। এসময় সে পুকুরে পাড়ের মোটর থেকে পানি পান করতে গিয়ে শিয়ালমারার ফাদে জড়িয়ে পড়ে। সেখানেই তার মৃত্য হয়।
এঘটনার পরপরই উত্তোজিত জনতা পুকুরে উপস্থিত হয়ে মোটরঘর, ঝাজরী ঈদগাহ মাঠে আব্বাসের ছেলে সাইদুরের মুদি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দর্শনা থানা পুলিশের একটি দল।
এবিষয়ে নিহত যুবক চান মিয়ার পিতা সাহেব আলী বলেন, সকালে আমার ছেলে গরুর জন্য ঘাস কাটতে এই মাঠে এসে। বাড়ী থেকে আসার সময় সে বিস্কুট খেতে খেতে আসে। পুকুরে পাড় মোটর চলা দেখে পানি খেতে গেলে আগে থেকে পেতে রাখা শিয়ালমারার ফাঁদে জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, অভিযুক্ত পুকুর মালিক আব্বাস দীর্ঘদিন যাবত এই পুকুরে পাড়ে বসে মাদক ব্যবসা করতো। সে এখান থেকেই এলাকায় মাদকের মাদকের সম্রাঞ্জ গড়ে তোলে।
এবিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি। তদন্ত পূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।