চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক বিরল উচ্চতার নারীর সন্ধান মিলেছে। মাত্র ২ ফুট ৪.৯ ইঞ্চি উচ্চতার এই নারীর নাম মোছা. ইয়াসমিন (২৬)। উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামে বাবা-মা ও ভাই-বোনের সঙ্গে বসবাস করেন তিনি। জন্ম ২০০০ সালের মে মাসে। জন্মের সময় ছিলেন অন্যান্য শিশুর মতোই স্বাভাবিক। তবে বয়স দুই পেরোনোর পর থেকেই থেমে যায় তার দেহের বৃদ্ধি। বর্তমানে তার উচ্চতা ৭৩.৪৩ সেন্টিমিটার বা ২ ফুট ৪.৯ ইঞ্চি। পরিবারের পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ইয়াসমিন দ্বিতীয়। তার বাবা আবুবক্কর সিদ্দিক একজন দিনমজুর।
ইয়াসমিনের বাবা জানান, ‘জন্মের পর সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু দুই বছর বয়স হওয়ার পর আর বাড়েনি ওর উচ্চতা। সবকিছু বোঝে, খায়, সবাইকে চিনতেও পারে, তবে খুব কম কথা বলে। ওই বয়সী মেয়েরা বিয়ে-থা করে ফেলেছে, অথচ ও এখনও অনেকটা শিশুর মতোই। সরকার থেকে ওর একটা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছে।’
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মকবুল হাসান বলেন, ‘জিনগত কারণে এমনটা হয়ে থাকে। চিকিৎসা করলেও সাধারণত বিশেষ কোনো উন্নতি হয় না।’ জীবননগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জাকির উদ্দিন মোড়ল বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ইয়াসমিনকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়েছে, যা এখনো চালু আছে। আমাদের দপ্তর থেকে এর বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই।’