চুয়াডাঙ্গায় টানা দাবদাহের পর অবশেষে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৫৮ মিনিট থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মাত্র ৩৮ মিনিটে রেকর্ড হয়েছে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্র মেঘে এই স্বস্তিদায়ক বর্ষণে একদিকে যেমন ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমেছে, অন্যদিকে স্বস্তি ফিরেছে প্রাণিকূলে। তবে গতকাল বেলা তিনটায়ও এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায় বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এসময় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাদের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
জেলা আবহাওয়া অফিন সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে থেকে টানা এক সপ্তাহে পাঁচ দিনই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকায় এ জেলার মানুষ প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিল। এ সময়ের মধ্যে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ ছুয়েছিলো তাপমাত্রা। এরই মধ্যে গতকাল বিকেল থেকে বাতাসের সঙ্গে আকাশে বজ্র মেঘের দেখা মেলে। বিকেল পৌঁনে ছয়টার পর আকাশ কালো হতে শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর শুরু ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে শহর ও আশপাশের এলাকায় অনেক সাধারণ মানুষকে বৃষ্টিতে ভিজে স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়
বৃষ্টির পর শহরের শান্তিপাড়া এলাকার নির্মাণ শ্রমিক আলফাজ হোসেন বলেন, ‘এই কদিন গরমে মাথা কাজ করছিল না। পানির বোতল সাথে রাখলেও খাওয়া যেত না, কারণ গরমে পানিও গরম হয়ে যেত। আজকের বৃষ্টিতে মনে হয় আল্লাহ একটু রহম করল। যতি এবার গরম কমে কাজ করতে কষ্ট কমবে।’ একই এলাকার এক রিকশাচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির আগে তো রাস্তায় লোকই ছিল না। সবাই ঘরে বসে থাকত। এখন হালকা শীতল হাওয়ার কারণে মানুষ বের হচ্ছে, ভাড়া পাইতাছি। প্রায় এক মাস ধরে গরমে শহরে রিকশা চালানো যন্ত্রণার ছিল। এই বৃষ্টি অনেক শান্তি দিছে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে শুরু হওয়ার পর থেকে ৩৮ মিনিটে মোট ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আগামী তিন-চারদিন এমন আবহাওয়া অব্যহত থাকতে পারে। তবে একটানা বৃষ্টি নয়, বিকেলের দিকে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। এসময় তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে বলে আমরা আশা করছি।’