দামুড়হুদার দেউলী গ্রামে তালের রস থেকে গুড় ও পাটালি তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক ইব্রাহিম মণ্ডল। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ২০০ কেজির বেশি গুড় উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দেউলী গ্রামে মৃত আজিম হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম মণ্ডল তার নিজ জমিতে থাকা ৩০টি তালগাছ থেকে রস আহরণ করে গুড় ও পাটালি উৎপাদন করছেন। তিনি গত ১৫ চৈত্র থেকে রস আহরণ শুরু করেন। এরপর থেকে গুড় তৈরির শুরু প্রক্রিয়া শুরু করেন। তার উৎপাদিত গুড় বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। চলতি মৌসুমে তিনি ৫ লাখ টাকার গুড় বিক্রির আশা করছেন।
গাছি শের আলী জানান, আমরা ৪ জন গাছ পরিচর্যার কাজ শুরু করছি। আমরা প্রতিদিন ৬০০ টাকা হাজিরায় কাজ করি। দিনে ২ বার গাছে ওঠানামা করে রস আহরণ করি। সকালে তুলনামূলক বেশি গুড় হয় এবং বিকেলে কিছুটা গুড় হয় কম। আগামী ২ মাস পুরো দমে গাছ থেকে রস আহরণ করে গুড় তৈরি করা যাবে।
গাছের মালিক ইব্রাহিম মণ্ডল জানান, এক বন্ধুর পরামর্শে তাদের জমিতে থাকা তালগাছ থেকে রস আহরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য ৪ জন গাছির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। গত ১৫ চৈত্র থেকে গাছের পরিচর্যা শুরু করেন। গাছ পরিচর্র্যার এক মাস পর গাছ থেকে রস আহরণ শুরু করেন। প্রথম প্রথম রস কম হলেও এখন রস ও গুড় দুটোই বেশি হচ্ছে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, তালগাছ খুবই উপকারী গাছ। তালগাছ জমির ফসলের ক্ষতি করে না। আবার তালগাছ থেকে রস আহরণ করে গুড় তৈরি আয় করা সম্ভব হয়। তালগাছ বজ্রপাতের হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করে। কৃষক ইব্রাহীম মণ্ডলের উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এ উপজেলায় যত তালগাছ আছে, সেগুলো থেকে রস আহরণ করে গুড় ও পাটালি তৈরি করলে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।