ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃষ্ণা মেটাতে ভুলে ঘাস মারা ওষুধ পান, ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে হঠাৎ পানি পিপাসা পায় মুদি ব্যবসায়ী শহিদুজ্জামান শহিদের (৪০)। এসময় তৃষ্ণা মেটাতে নিজের দোকানে থাকা ঘাস মারা বিষ পান করেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দুলালের নিকট নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শহীদুজ্জামানের মৃত্যু হয়। নিহত শহিদুজ্জামান মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের ঝিটকিপোতা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। গত শুক্রবার রাতে ঝিটকিপোতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নিজ দোকানে বসে থাকা অবস্থায় প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে হঠাৎ পানি পিপাসা পায় শহিদুজ্জামানের। এসময় তিনি নিজ দোকানে রাখা কোমল পানীয় বোতলে রাখা ঘাস মারা ওষুধ সেবন করেন। তার ভাই সাজেদুল ইসলাম জানান, প্রথমে তাকে পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সামাদের কাছে নিলে তিনি ওয়াস করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়ি নিয়ে আসার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে পার্শ্ববতী চুন্নিরআইট গ্রামের পল্লী চিকিৎসক দুলালের কাছে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীন জানান, নিজের দোকানে তিনি নিজেই মোজোর (কোমল পানিয়) বোতল রাখেন। কিন্তু বেখেয়ালে সেই বোতলে পানি আছে ভেবে তা পান করেন। ভৈরবা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুলের খেশারত তিনি নিজেই দিয়ে গেলেন। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তৃষ্ণা মেটাতে ভুলে ঘাস মারা ওষুধ পান, ব্যবসায়ীর মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে হঠাৎ পানি পিপাসা পায় মুদি ব্যবসায়ী শহিদুজ্জামান শহিদের (৪০)। এসময় তৃষ্ণা মেটাতে নিজের দোকানে থাকা ঘাস মারা বিষ পান করেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দুলালের নিকট নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শহীদুজ্জামানের মৃত্যু হয়। নিহত শহিদুজ্জামান মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের ঝিটকিপোতা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। গত শুক্রবার রাতে ঝিটকিপোতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নিজ দোকানে বসে থাকা অবস্থায় প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে হঠাৎ পানি পিপাসা পায় শহিদুজ্জামানের। এসময় তিনি নিজ দোকানে রাখা কোমল পানীয় বোতলে রাখা ঘাস মারা ওষুধ সেবন করেন। তার ভাই সাজেদুল ইসলাম জানান, প্রথমে তাকে পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সামাদের কাছে নিলে তিনি ওয়াস করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়ি নিয়ে আসার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে পার্শ্ববতী চুন্নিরআইট গ্রামের পল্লী চিকিৎসক দুলালের কাছে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীন জানান, নিজের দোকানে তিনি নিজেই মোজোর (কোমল পানিয়) বোতল রাখেন। কিন্তু বেখেয়ালে সেই বোতলে পানি আছে ভেবে তা পান করেন। ভৈরবা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুলের খেশারত তিনি নিজেই দিয়ে গেলেন। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।