ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী ও শ্বশুর থানা হেফাজতে

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় টুম্পা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের ঢেপা গ্রামের স্কুলপাড়ার নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত টুম্পা মেহেরপুর সদর উপজেলার দফরপুর গ্রামের পিণ্টু মিয়ার মেয়ে ও ঢেপা গ্রামের সাঈদ হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় গতকালই টুম্পার স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস পূর্বে সাঈদ হোসেনের সাথে টুম্পার বিবাহ হয়। সাঈদ পেশায় রাজমিস্ত্রী। বিয়ের পর থেকে তারা সুখেই সংসার করছিলেন। গত শনিবার রাতেও স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করেন। তবে সেহেরির সময় শ্বশুর বাড়ির নিজ ঘরে টুম্পার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।

সাঈদ হোসেনের খালা পারভীনা খাতুন বলেন, তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। গতকাল ঈদের বাজার করেছে। সারাদিন রোজা পালনের পর সন্ধ্যায় গ্রামের অনেকে মিলে পিকনিকও করেছে। আর মধ্যরাতে শুনছি গলাই দঁড়ি দিয়েছে। ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে রাগারাগির কারণে সে আত্মহত্যা করেছে কি না কিছুই বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গৃহবধূর টুম্পা খাতুনের স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী ও শ্বশুর থানা হেফাজতে

আপলোড টাইম : ০৮:১৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় টুম্পা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের ঢেপা গ্রামের স্কুলপাড়ার নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত টুম্পা মেহেরপুর সদর উপজেলার দফরপুর গ্রামের পিণ্টু মিয়ার মেয়ে ও ঢেপা গ্রামের সাঈদ হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় গতকালই টুম্পার স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস পূর্বে সাঈদ হোসেনের সাথে টুম্পার বিবাহ হয়। সাঈদ পেশায় রাজমিস্ত্রী। বিয়ের পর থেকে তারা সুখেই সংসার করছিলেন। গত শনিবার রাতেও স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করেন। তবে সেহেরির সময় শ্বশুর বাড়ির নিজ ঘরে টুম্পার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।

সাঈদ হোসেনের খালা পারভীনা খাতুন বলেন, তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। গতকাল ঈদের বাজার করেছে। সারাদিন রোজা পালনের পর সন্ধ্যায় গ্রামের অনেকে মিলে পিকনিকও করেছে। আর মধ্যরাতে শুনছি গলাই দঁড়ি দিয়েছে। ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে রাগারাগির কারণে সে আত্মহত্যা করেছে কি না কিছুই বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গৃহবধূর টুম্পা খাতুনের স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।