ইপেপার । আজশুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ ডিসেম্বর বিশৃঙ্খলা করলে বিএনপি হেফাজতের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী দামুড়হুদার হৈবৎপুরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্রের উদ্বোধন, সরোজগঞ্জের জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, হায়পুর গ্রামের ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট পরিদর্শন, দামুড়হুদার মেহেরুন নেছা শিশুপার্কে নবান্ন উৎসব, কৃষি প্রযুক্তি মেলা ও কৃষক সমাবেশ এবং কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণসহ বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। রাতে তিনি মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। আজ মেহেরপুরে কৃষি ঋণ মেলার উদ্বোধনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

দিনব্যাপী এসব অনুষ্ঠানসূচিতে কৃষিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইচ্ছা করলেই ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। হেফাজতও এমন বলেছিল, শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল। রাতের মধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েই ছাড়বে। কিন্তু আমরা রাতে দেখলাম শাপলা চত্বর পরিস্কার হয়ে গেছে। ১০ ডিসেম্বর এরকম কিছু করতে চাইলে ওমন পরিষ্কার হয়ে যাবে।


দেশে খাদ্য ঘাটতি ও দুর্ভিক্ষের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এবার প্রচুর পরিমাণ আমন শস্য উৎপাদন হয়েছে। ফলে দুর্ভিক্ষের কোনো শঙ্কা নেই। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না, খাদ্য সংকট হবে না। তবে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলমান থাকলে মানুষের একটু কষ্ট হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের বড় রপ্তানিকারক দেশ। তাদের যুদ্ধের প্রভাব হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বারবার সতর্ক করছেন। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস হিসেবে আমাদের সতর্ক হতে হবে।

চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় কৃষিখাত নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চুয়াডাঙ্গার কৃষি হবে বাংলাদেশের মডেল। আধুনিক, উন্নত এবং কৃষকের জন্য লাভজনক কৃষি অর্থকারী কৃষি। ফলমূল, শাক সবজিতে বিপ্লব ঘটবে চুয়াডাঙ্গায়।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মসলা। আমাদের পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি ছিল না। জনসংখ্যা বেড়েছে। ধান বেশি উপাদন করতে হয়। মানুষ পেঁয়াজ করতে চায় না। পেঁয়াজ পচনশীল। এ কারণে আশ্বিন-কার্তিক মাসে পেঁয়াজ পাওয়া যায় না। তাই পেঁয়াজ বিদেশ থেকে রপ্তানি করতে হয়। তবে বিজ্ঞানীরা উন্নতজাতের গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ আবিস্কার করেছেন। এখন দেশে উন্নতজাতের গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। চাষীদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। দেশে আর পেঁয়াজের সংকট থাকবে না। আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।’


জীবননগরে ফসলের মৌসুম শুরুর অনেক দিন পর সরকারি প্রণোদনা বীজ দেওয়া হয়। বীজ দ্রুত দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করেন না। তাঁরা সময় মতো বীজ দেয় না। তারা বীজ আনেন না। তারা ঢিলেঢালা। আপনারা মিডিয়াতে এসব লেখেন না কেন? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্যশস্য উৎপাদন যাতে ব্যহত না হয়, সেদিকে সজাগ রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে দেশে সারের কোনো রকম সমস্যা না হয়। আশা করি কোনো ধরনের বিপর্যয় না হলে সারের সংকট হবে না। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশ এখনও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মহেশপুরে আমন শস্য কর্তনের উদ্বোধন, বৃক্ষরোপণ ও পেয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। মথুরানগর মাঠে কৃষকের ধানকাটা পরিদর্শন করে তিনি এশিয়ার বৃহত্তম কৃষিখামার দত্তনগর খামারের গোকুলনগর পরিদর্শন বাংলোয় আসেন। সেখানে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এসময় ঝিনাইদহ ১-আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শফিকুল আজম খাঁন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, কৃষি বিভাগের মহাপরিচাক বেনজির আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহেশপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আজগর আলী, মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মতুর্জা ও জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ অমল উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে, বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সন্তোষপুরে কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলামের ‘ভাই ভাই কৃষি খামার’ এর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এসময় জীবননগর উপজেলা কৃষক জোটের পক্ষে কৃষিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। দুপুরের দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন হৈবতপুর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, কৃষি বিভাগের ডিজি বেনজীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু প্রমুখ। এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তিথি মিত্র, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে জনতা রির্চাস ট্রেনিং অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তত্ত্বাবধায়ক ওলিউল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।


এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের ইশতেহারে আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকরণ করব, আধুনিক ও বাণিজ্যকরণ আন্তর্জাতিক মানের হবে এ দেশের কৃষি ব্যবস্থা। বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে আমাদের দেশ। বিশ্ব বাণিজ্যিক স্থানে টিকে থাকার জন্য এবং যথাযথভাবে অংশ নিতে কৃষি বাণিজ্যকেও এগিয়ে নিতে হবে। আধুনিক কৃষিযন্ত্র আবিষ্কার ও ব্যবহার করতে হবে, অনেক উঁচুমানের টেকনোলোজি আনতে হবে। দেশে ব্যায়ো টেকনোলোজি, কৃষি টেকনোলোজি, কৃত্রিম রোবট, ন্যানো টেকনোলোজি সবগুলোই এখন ব্যবহার হচ্ছে। লক্ষ্যে অর্জনে চুয়াডাঙ্গার সদরে সরোজগঞ্জের জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং অবশ্যই অবদান রাখছে বাংলাদেশে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়ার্দ্দার টোটন প্রমুখ।

পরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেটে মন্ত্রী পৌছালে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা মেরিনা জামান মমি ও চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলিফ হোসেন। ফ্রেন্ড এগ্রো প্লানেটে কৃষিমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ ও কেক কাটেন। এসএসসি-৯৩ ব্যাচের বন্ধুদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এসময় তিনি বলেন, এতো সুন্দর একটি বাগানে এসে খুবই ভালো অনুভব করছি। এই দেশের ১৭টি কোটি মানুষকে পুষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। এমন খাবার আমরা আমাদের সন্তানদেরকে খাওয়াবো। সত্যিই অভিভূত হয়ে যাচ্ছি ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট দেখে। প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা রাজনীতি করি। রাজনীতি করতে পারে কারা? যারা আসায় বুক বাধে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হতাশায় ভুগি না, নৈরাজ্যে বাস করি না। সবসময় আমি একজন আশাবাদী। আমি মনে করি আমার আশা ব্যর্থ হবে না। বিফলে যাবে না। চুয়াডাঙ্গার কৃষক ও উদ্যোক্তাদের ফসল দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, জাতীয় কৃষি উদ্যোক্তা পুরষ্কারপ্রাপ্ত মেরিনা জামান মমি, মঞ্জুরুল আলম, নাহিদ হাসান খাঁন নীপু, শামীম শান্ত প্রমুখ।


এরপর মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর মেহেরুন্নেছা পার্কে কৃষক সমাবেশ ও কৃষি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, কুষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলীসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১০ ডিসেম্বর বিশৃঙ্খলা করলে বিএনপি হেফাজতের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে

আপলোড টাইম : ১০:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী দামুড়হুদার হৈবৎপুরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্রের উদ্বোধন, সরোজগঞ্জের জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, হায়পুর গ্রামের ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট পরিদর্শন, দামুড়হুদার মেহেরুন নেছা শিশুপার্কে নবান্ন উৎসব, কৃষি প্রযুক্তি মেলা ও কৃষক সমাবেশ এবং কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণসহ বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। রাতে তিনি মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। আজ মেহেরপুরে কৃষি ঋণ মেলার উদ্বোধনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

দিনব্যাপী এসব অনুষ্ঠানসূচিতে কৃষিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইচ্ছা করলেই ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। হেফাজতও এমন বলেছিল, শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল। রাতের মধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েই ছাড়বে। কিন্তু আমরা রাতে দেখলাম শাপলা চত্বর পরিস্কার হয়ে গেছে। ১০ ডিসেম্বর এরকম কিছু করতে চাইলে ওমন পরিষ্কার হয়ে যাবে।


দেশে খাদ্য ঘাটতি ও দুর্ভিক্ষের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এবার প্রচুর পরিমাণ আমন শস্য উৎপাদন হয়েছে। ফলে দুর্ভিক্ষের কোনো শঙ্কা নেই। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না, খাদ্য সংকট হবে না। তবে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলমান থাকলে মানুষের একটু কষ্ট হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের বড় রপ্তানিকারক দেশ। তাদের যুদ্ধের প্রভাব হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বারবার সতর্ক করছেন। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস হিসেবে আমাদের সতর্ক হতে হবে।

চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় কৃষিখাত নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চুয়াডাঙ্গার কৃষি হবে বাংলাদেশের মডেল। আধুনিক, উন্নত এবং কৃষকের জন্য লাভজনক কৃষি অর্থকারী কৃষি। ফলমূল, শাক সবজিতে বিপ্লব ঘটবে চুয়াডাঙ্গায়।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মসলা। আমাদের পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি ছিল না। জনসংখ্যা বেড়েছে। ধান বেশি উপাদন করতে হয়। মানুষ পেঁয়াজ করতে চায় না। পেঁয়াজ পচনশীল। এ কারণে আশ্বিন-কার্তিক মাসে পেঁয়াজ পাওয়া যায় না। তাই পেঁয়াজ বিদেশ থেকে রপ্তানি করতে হয়। তবে বিজ্ঞানীরা উন্নতজাতের গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ আবিস্কার করেছেন। এখন দেশে উন্নতজাতের গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। চাষীদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। দেশে আর পেঁয়াজের সংকট থাকবে না। আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।’


জীবননগরে ফসলের মৌসুম শুরুর অনেক দিন পর সরকারি প্রণোদনা বীজ দেওয়া হয়। বীজ দ্রুত দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করেন না। তাঁরা সময় মতো বীজ দেয় না। তারা বীজ আনেন না। তারা ঢিলেঢালা। আপনারা মিডিয়াতে এসব লেখেন না কেন? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্যশস্য উৎপাদন যাতে ব্যহত না হয়, সেদিকে সজাগ রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে দেশে সারের কোনো রকম সমস্যা না হয়। আশা করি কোনো ধরনের বিপর্যয় না হলে সারের সংকট হবে না। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশ এখনও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মহেশপুরে আমন শস্য কর্তনের উদ্বোধন, বৃক্ষরোপণ ও পেয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। মথুরানগর মাঠে কৃষকের ধানকাটা পরিদর্শন করে তিনি এশিয়ার বৃহত্তম কৃষিখামার দত্তনগর খামারের গোকুলনগর পরিদর্শন বাংলোয় আসেন। সেখানে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এসময় ঝিনাইদহ ১-আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শফিকুল আজম খাঁন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, কৃষি বিভাগের মহাপরিচাক বেনজির আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহেশপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আজগর আলী, মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মতুর্জা ও জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ অমল উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে, বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সন্তোষপুরে কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলামের ‘ভাই ভাই কৃষি খামার’ এর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এসময় জীবননগর উপজেলা কৃষক জোটের পক্ষে কৃষিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। দুপুরের দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন হৈবতপুর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, কৃষি বিভাগের ডিজি বেনজীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু প্রমুখ। এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তিথি মিত্র, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে জনতা রির্চাস ট্রেনিং অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তত্ত্বাবধায়ক ওলিউল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।


এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের ইশতেহারে আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকরণ করব, আধুনিক ও বাণিজ্যকরণ আন্তর্জাতিক মানের হবে এ দেশের কৃষি ব্যবস্থা। বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে আমাদের দেশ। বিশ্ব বাণিজ্যিক স্থানে টিকে থাকার জন্য এবং যথাযথভাবে অংশ নিতে কৃষি বাণিজ্যকেও এগিয়ে নিতে হবে। আধুনিক কৃষিযন্ত্র আবিষ্কার ও ব্যবহার করতে হবে, অনেক উঁচুমানের টেকনোলোজি আনতে হবে। দেশে ব্যায়ো টেকনোলোজি, কৃষি টেকনোলোজি, কৃত্রিম রোবট, ন্যানো টেকনোলোজি সবগুলোই এখন ব্যবহার হচ্ছে। লক্ষ্যে অর্জনে চুয়াডাঙ্গার সদরে সরোজগঞ্জের জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং অবশ্যই অবদান রাখছে বাংলাদেশে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়ার্দ্দার টোটন প্রমুখ।

পরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেটে মন্ত্রী পৌছালে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা মেরিনা জামান মমি ও চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলিফ হোসেন। ফ্রেন্ড এগ্রো প্লানেটে কৃষিমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ ও কেক কাটেন। এসএসসি-৯৩ ব্যাচের বন্ধুদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এসময় তিনি বলেন, এতো সুন্দর একটি বাগানে এসে খুবই ভালো অনুভব করছি। এই দেশের ১৭টি কোটি মানুষকে পুষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। এমন খাবার আমরা আমাদের সন্তানদেরকে খাওয়াবো। সত্যিই অভিভূত হয়ে যাচ্ছি ফ্রেন্ডস এগ্রো প্লানেট দেখে। প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা রাজনীতি করি। রাজনীতি করতে পারে কারা? যারা আসায় বুক বাধে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হতাশায় ভুগি না, নৈরাজ্যে বাস করি না। সবসময় আমি একজন আশাবাদী। আমি মনে করি আমার আশা ব্যর্থ হবে না। বিফলে যাবে না। চুয়াডাঙ্গার কৃষক ও উদ্যোক্তাদের ফসল দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, জাতীয় কৃষি উদ্যোক্তা পুরষ্কারপ্রাপ্ত মেরিনা জামান মমি, মঞ্জুরুল আলম, নাহিদ হাসান খাঁন নীপু, শামীম শান্ত প্রমুখ।


এরপর মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর মেহেরুন্নেছা পার্কে কৃষক সমাবেশ ও কৃষি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, কুষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলীসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।