ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পূজা পুনর্মিলনী সভার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পৌরসভা এলাকার গিলাবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারে জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী ও পূজা উদ্‌যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।

ঝিনাইদহ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক মিলন কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ। ঝিনাইদহ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের সদস্যসচিব সমীর কুমার হালদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান লাকী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শেখর, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক তপন বিশ্বাস, সদস্য সচিব প্রহ্লাদ সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক চন্দন বসু মুক্ত, সদস্য সচিব অরুণ কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক গণেশ চন্দ্র বিশ্বাস, সদস্য সচিব অচিন্ত কুমার রায়, পৌর পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রহ্লাদ বিশ্বাস ও সদস্য সচিব রাহুল দেব সাহা (পাপ্পু) বক্তব্য দেন।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অতীতে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসররা সাম্প্রদায়িকতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টের পতনের পরে দেশের সকল ধর্মের মানুষ মিলে মিশে একে অপরের ধর্মীয় উৎসব উপভোগ করছে। বাংলাদেশে এখন ভয়হীন এক সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

শারদীয় দুর্গাপূজার মতো বড় উৎসব দেশে শান্তিপূর্ণভাবে উদ্‌যাপিত হয়েছে। সকল ধর্মের মানুষ পূজার উৎসব আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীলতার মধ্যদিয়ে আগামীতেও দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সব ধর্মের মানুষ তাদের আচার-উৎসব পালন করবে বলে এই বিএনপি নেতা মনে করেন।