ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়ুলগাছিতে বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল জলাশয়

পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে চাষিরা

খালেকুজ্জামান, কুড়ুলগাছি:
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় একবারে শুকনা পড়ে রয়েছে কুড়ুলগাছির বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাশয়। এদিকে, পাট কাটার মৌসুম শুরু হলেও তা জাগ দেয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান না পাওয়ায় পাট কাটতে পারছেন না তাঁরা। পাট কাটার উপযুক্ত সময় পার হওয়ায় অনেক কৃষক পাট কেটে জমিতেই ফেলে রেখেছেন।

জমির আশপাশের ডোবা বা নালায় পানি না জমায় অনেক চাষি নসিমন, করিমন ও মহিষের গাড়ি ভাড়া করে অনেক দূর-দূরান্তের জলাশয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পাট জাগ দেয়ার জন্য। তবে সেখানেও নেই পর্যাপ্ত পানি।

পাট চাষিরা জানান, কেউ কেউ পাট কেটে ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুরের ষাটখালি ক্যানেল ও কুড়ুলগাছি রায়সা বিলে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি সময় ও টাকা অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। তবে সেখানেও পাট জাগ দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি নেই। এবছর প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল-বিল ও জলাশয় অনেকটাই পানিশূন্য পড়ে রয়েছে। ফলে পাট জাগ দেয়া যাচ্ছে না। জমি থেকে দূর-দূরান্তের জলাশয়ে নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে, এতে সময় ও খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

কুড়ুলগাছি গ্রামের পাট চাষি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আষাঢ় মাসেও কোথাও ঠিকমতো বৃষ্টিপাত হয়নি। মাঝে মধ্যে সামান্য যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র রাস্তা কাঁদা হয় খাল, বিল, জলাশয়ে পানি জমেনি। শ্রাবণ মাসের অর্ধেক সময় প্রায় শেষ হতে চলল, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না। খাল, বিলে পানির অভাবে আমরা পাট কাটা শুরু করতে পারছি না। পাট কাটার সময় চলে আসায় কিছু জমির পাট কাটা হয়েছে, তারা গাড়ি ভাড়া করে দূরের জলাশয়ে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে খরচ বেশি হচ্ছে। পাটের দাম ঠিকমত না পেলে আমাদের লোকশান হবে।’

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৪০ হেক্টর, তবে পাট চাষ হয়েঝে ৫৩০ হেক্টর জমিতে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কুড়ুলগাছিতে বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল জলাশয়

পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে চাষিরা

আপলোড টাইম : ০৪:১৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় একবারে শুকনা পড়ে রয়েছে কুড়ুলগাছির বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাশয়। এদিকে, পাট কাটার মৌসুম শুরু হলেও তা জাগ দেয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান না পাওয়ায় পাট কাটতে পারছেন না তাঁরা। পাট কাটার উপযুক্ত সময় পার হওয়ায় অনেক কৃষক পাট কেটে জমিতেই ফেলে রেখেছেন।

জমির আশপাশের ডোবা বা নালায় পানি না জমায় অনেক চাষি নসিমন, করিমন ও মহিষের গাড়ি ভাড়া করে অনেক দূর-দূরান্তের জলাশয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পাট জাগ দেয়ার জন্য। তবে সেখানেও নেই পর্যাপ্ত পানি।

পাট চাষিরা জানান, কেউ কেউ পাট কেটে ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুরের ষাটখালি ক্যানেল ও কুড়ুলগাছি রায়সা বিলে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি সময় ও টাকা অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। তবে সেখানেও পাট জাগ দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি নেই। এবছর প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল-বিল ও জলাশয় অনেকটাই পানিশূন্য পড়ে রয়েছে। ফলে পাট জাগ দেয়া যাচ্ছে না। জমি থেকে দূর-দূরান্তের জলাশয়ে নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে, এতে সময় ও খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

কুড়ুলগাছি গ্রামের পাট চাষি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আষাঢ় মাসেও কোথাও ঠিকমতো বৃষ্টিপাত হয়নি। মাঝে মধ্যে সামান্য যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র রাস্তা কাঁদা হয় খাল, বিল, জলাশয়ে পানি জমেনি। শ্রাবণ মাসের অর্ধেক সময় প্রায় শেষ হতে চলল, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না। খাল, বিলে পানির অভাবে আমরা পাট কাটা শুরু করতে পারছি না। পাট কাটার সময় চলে আসায় কিছু জমির পাট কাটা হয়েছে, তারা গাড়ি ভাড়া করে দূরের জলাশয়ে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে খরচ বেশি হচ্ছে। পাটের দাম ঠিকমত না পেলে আমাদের লোকশান হবে।’

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৪০ হেক্টর, তবে পাট চাষ হয়েঝে ৫৩০ হেক্টর জমিতে।