ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বটবৃক্ষটি

রাসেল হোসেন মুন্না, উথলী:
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

oplus_0

জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নে সেনেরহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে। সে সময় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য সেনেরহুদা গ্রামে জমি ও অর্থ দান করে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দাতাদের মধ্যে আব্দুল বারী মুন্সী ও ফজলু রহমান ১৯৭৮ সালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি বটগাছের চারা রোপণ করেন। শিক্ষার্ধীরা যেন ওই গাছের ছায়াই বসে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে পারে।
এরপর পেরিয়েছে ৪৬ বছর। ধীরে ধীরে সেই বটবৃক্ষটি প্রকাণ্ড আকার নিয়েছে। এখন গাছটির অসংখ্য শিকড় ধরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা দোল খেলে। প্রচণ্ড গরমের সময় স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ গাছের নিচে শান্তি পেতে আশ্রয় নেয়। শুধুমাত্র গাছটির ছায়া নয়, গাছের তলায় দাঁড়ালে মন ভরে নিঃশ্বাসও নেয়া যায়।
এদিকে, বট গাছটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মাঠ প্রাঙ্গনে। সেনেরহুদা গ্রামে শত শত মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন এই বটগাছটির নিচে। স্থানীয়রা বলেন, সেনেরহুদা গ্রামের একটি পুরাতন ঐতিহ্য হিসেবে এই বটগাছটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সেনেরহুদা গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ফজলুর রহমান বলেন, তিনটি গাছের পর এটি চতুর্থ নম্বর গাছ। প্রথম তিনবারে লাগানো তিনটি গাছ গরু-ছাগলে খেয়ে নষ্ট করে ও ঝড়ে ভেঙে যায়। একই জায়গায় আবার একটি বটগাছ লাগানো হয়। বটগাছটি আজ কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। তিনি দাবি করেন, গ্রামের সাধারণ মানুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে গাছটি যেন কখনো কাটা না হয়। তিনি চান, বটগাছটি যেন স্মৃতি হয়ে থাকবে চিরকাল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বটবৃক্ষটি

আপলোড টাইম : ০৪:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নে সেনেরহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে। সে সময় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য সেনেরহুদা গ্রামে জমি ও অর্থ দান করে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দাতাদের মধ্যে আব্দুল বারী মুন্সী ও ফজলু রহমান ১৯৭৮ সালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি বটগাছের চারা রোপণ করেন। শিক্ষার্ধীরা যেন ওই গাছের ছায়াই বসে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে পারে।
এরপর পেরিয়েছে ৪৬ বছর। ধীরে ধীরে সেই বটবৃক্ষটি প্রকাণ্ড আকার নিয়েছে। এখন গাছটির অসংখ্য শিকড় ধরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা দোল খেলে। প্রচণ্ড গরমের সময় স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ গাছের নিচে শান্তি পেতে আশ্রয় নেয়। শুধুমাত্র গাছটির ছায়া নয়, গাছের তলায় দাঁড়ালে মন ভরে নিঃশ্বাসও নেয়া যায়।
এদিকে, বট গাছটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মাঠ প্রাঙ্গনে। সেনেরহুদা গ্রামে শত শত মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন এই বটগাছটির নিচে। স্থানীয়রা বলেন, সেনেরহুদা গ্রামের একটি পুরাতন ঐতিহ্য হিসেবে এই বটগাছটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সেনেরহুদা গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ফজলুর রহমান বলেন, তিনটি গাছের পর এটি চতুর্থ নম্বর গাছ। প্রথম তিনবারে লাগানো তিনটি গাছ গরু-ছাগলে খেয়ে নষ্ট করে ও ঝড়ে ভেঙে যায়। একই জায়গায় আবার একটি বটগাছ লাগানো হয়। বটগাছটি আজ কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। তিনি দাবি করেন, গ্রামের সাধারণ মানুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে গাছটি যেন কখনো কাটা না হয়। তিনি চান, বটগাছটি যেন স্মৃতি হয়ে থাকবে চিরকাল।