ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় কিশোর পাখিভ্যান চালক রুবেল হত্যা মামলার রায়

একমাত্র আসামি সোহাগের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১২:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় কিশোর পাখিভ্যান চালক রুবেল হোসেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (২য়) বিচারক মো. মাসুদ আলী। একই সাথে তাকে আরও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহম্মেদ (২১) সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে কিশোর ভ্যানচালক রুবেলকে চুয়াডাঙ্গা সদরের দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন আসামি সোহাগ আহম্মেদ। এসময় প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে যেয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে রুবেলকে হত্যা করেন সোহাগ। হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানের ভেতর তার মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যান সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে ধরা খেতে হবে বুঝতে পেরে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি। পরে তিনি আর পাখিভ্যানটি নিতে যাননি। পরে থানা-পুলিশ সোহাগকে আটক করে।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একমাত্র আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মামলার আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাড. শরীফ উদ্দীন হাসু বলেন, অপরাধের ধরনে আসামির ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স বিবেচনায় বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় কিশোর পাখিভ্যান চালক রুবেল হত্যা মামলার রায়

একমাত্র আসামি সোহাগের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড

আপলোড টাইম : ১২:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় কিশোর পাখিভ্যান চালক রুবেল হোসেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (২য়) বিচারক মো. মাসুদ আলী। একই সাথে তাকে আরও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহম্মেদ (২১) সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে কিশোর ভ্যানচালক রুবেলকে চুয়াডাঙ্গা সদরের দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন আসামি সোহাগ আহম্মেদ। এসময় প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে যেয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে রুবেলকে হত্যা করেন সোহাগ। হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানের ভেতর তার মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যান সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে ধরা খেতে হবে বুঝতে পেরে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি। পরে তিনি আর পাখিভ্যানটি নিতে যাননি। পরে থানা-পুলিশ সোহাগকে আটক করে।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একমাত্র আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মামলার আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাড. শরীফ উদ্দীন হাসু বলেন, অপরাধের ধরনে আসামির ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স বিবেচনায় বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।