ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে কারফিউয়ের প্রভাবে কাঁচাবাজার ঊর্ধ্বমুখী, বেড়েছে সকল পণ্যের দাম

চাহিদা অনুযায়ী বাজার না করেই ফিরতে হচ্ছে বাড়ি

প্রতিবেদক, মেহেরপুর সদর:
  • আপলোড টাইম : ১২:১৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

কারফিউয়ের প্রভাবে মেহেরপুরের কাঁচাবাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম। এতে নিত্যপণ্যের বাজারে বিপাকে পড়ছেন মজুর শ্রেণিসহ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। বাজারে এসে মিলাতে পারছেন না আয়-ব্যয়ের হিসাব। গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেরপুর বড় বাজারে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সবজির দাম ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শাক জাতীয় সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। আলুর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি খুচরা ৫ টাকা ও পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। এসব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা করে বেশি দরে ১১০ টাকায়। প্রতি কেজি আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। রসুনের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশী রসুন খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৫০ টাকা। তবে বাজারে কাঁচা ঝালের দাম নিম্নমূখী। গত সপ্তাহে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা ঝাল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আদা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটল খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৪০ টাকা, শীতের সবজি ফুলকপি ৪০ টাকা, গাজর ৩০০ টাকা, পালন শাক ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচ কলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লেবু হালি হিসেবে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ-মাংসের বাজারে কারফিউয়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাছ ও মাংসের দাম।
মাছ ও মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। বাজারে সোনালী মুরগী কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। পাকিস্তানী মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এছাড়াও গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে চলতি সপ্তাহে।
কাঁচা বাজার করতে আসা মেহেরপুর শহরের রং মিস্ত্রী আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত কিছু দিনের তুলনায় সবজির দাম এই সপ্তাহে কিছুটা বেশি। সারাদিন কাজ করে যা আয় হয়, বাজার করতে গেলে তাতে কিছুই হয় না। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলে না। বাজার করা ছাড়াও সংসারের অন্যান্য খরচ চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী বাজার-সদাই না করতে পেরে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’
অপর এক ক্রেতা আনিচ বলেন, বাজারের সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু কিছু কিছু শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। হয়ত কারফিউয়ের কারণে জেলার বাইরে পাঠাতে না পারায় খুচরা বাজারে তা বিক্রি করছে। যদি এভাবে খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে আমারদের মতো মধ্যবিত্তদের এক বেলা খেয়ে না খেয়ে বাঁচতে হবে।
মেহেরপুর কাঁচা বাজারের বিক্রেতা আব্দুল জব্বার জানান, গত কয়েকদিন কারফিউ থাকায় গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় কাঁচাবাজারে সব পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে বেশকিছু সবজির দামে কোনো হেরফের হয়নি। কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে কচু এবং বেগুনের দাম। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী দিনে সবজির দাম কমতে পারে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে কারফিউয়ের প্রভাবে কাঁচাবাজার ঊর্ধ্বমুখী, বেড়েছে সকল পণ্যের দাম

চাহিদা অনুযায়ী বাজার না করেই ফিরতে হচ্ছে বাড়ি

আপলোড টাইম : ১২:১৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

কারফিউয়ের প্রভাবে মেহেরপুরের কাঁচাবাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম। এতে নিত্যপণ্যের বাজারে বিপাকে পড়ছেন মজুর শ্রেণিসহ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। বাজারে এসে মিলাতে পারছেন না আয়-ব্যয়ের হিসাব। গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেরপুর বড় বাজারে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সবজির দাম ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শাক জাতীয় সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। আলুর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি খুচরা ৫ টাকা ও পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। এসব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা করে বেশি দরে ১১০ টাকায়। প্রতি কেজি আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। রসুনের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশী রসুন খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৫০ টাকা। তবে বাজারে কাঁচা ঝালের দাম নিম্নমূখী। গত সপ্তাহে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা ঝাল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আদা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটল খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৪০ টাকা, শীতের সবজি ফুলকপি ৪০ টাকা, গাজর ৩০০ টাকা, পালন শাক ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচ কলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লেবু হালি হিসেবে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ-মাংসের বাজারে কারফিউয়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাছ ও মাংসের দাম।
মাছ ও মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। বাজারে সোনালী মুরগী কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। পাকিস্তানী মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এছাড়াও গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে চলতি সপ্তাহে।
কাঁচা বাজার করতে আসা মেহেরপুর শহরের রং মিস্ত্রী আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত কিছু দিনের তুলনায় সবজির দাম এই সপ্তাহে কিছুটা বেশি। সারাদিন কাজ করে যা আয় হয়, বাজার করতে গেলে তাতে কিছুই হয় না। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলে না। বাজার করা ছাড়াও সংসারের অন্যান্য খরচ চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী বাজার-সদাই না করতে পেরে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’
অপর এক ক্রেতা আনিচ বলেন, বাজারের সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু কিছু কিছু শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। হয়ত কারফিউয়ের কারণে জেলার বাইরে পাঠাতে না পারায় খুচরা বাজারে তা বিক্রি করছে। যদি এভাবে খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে আমারদের মতো মধ্যবিত্তদের এক বেলা খেয়ে না খেয়ে বাঁচতে হবে।
মেহেরপুর কাঁচা বাজারের বিক্রেতা আব্দুল জব্বার জানান, গত কয়েকদিন কারফিউ থাকায় গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় কাঁচাবাজারে সব পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে বেশকিছু সবজির দামে কোনো হেরফের হয়নি। কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে কচু এবং বেগুনের দাম। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী দিনে সবজির দাম কমতে পারে বলেও জানান তিনি।