ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

মাদকের ব্যাপারে শুধু সীমান্ত নয়, শহরেও নজর রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের কর্মতৎপরতা বেড়েছে। শুধুমাত্র সীমান্তবর্তী স্থানে নয়, শহরের যেসব স্পটে মাদকের পূর্বে রেকর্ড আছে, সেগুলোতেও নজর রাখতে হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে।

জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, অপরাধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কর্মতৎপরতা বেড়েছে। আত্মহত্যার বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক আয়োজন করা হচ্ছে। মাদক, বাল্যবিয়ে ও আত্মহত্যা এই তিনটি সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। নিজ নিজ জায়গা থেকে এই তিনটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। সভা-সেমিনারের বাইরে সাংস্কৃতিক আয়োজন, বিতর্কের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।

কাজী সমিতির সভাপতিকে উদ্দেশ্যে করে জেলা প্রশাসক বলেন, কাজী হিসেবে নিবন্ধন বাদে যারা পরিচয় দিচ্ছেন, তাদের একটি তালিকা আমাদের দিবেন। আমরা সেটা যাচাই-বাছাই করে আইনের আওতায় আনবো। যারা ভুয়া কাজী, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

খাবারে ভেজাল রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, খাবারে ভেজালের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য পরীক্ষার জন্য খুব দ্রুতই একটি ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার পেতে যাচ্ছে। এটি একটি ভালো বিষয়। সেই সাথে আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, বিজ্ঞ আদালতকে সহযোগিতা করা আমাদের সকলের কর্তব্য। আদালতে যাতে সাক্ষী আসে, সে বিষয়ে তৎপর হতে হবে।

উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্য করে বলেন, উপজেলা পর্যায়ের সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমন্বয় করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে আইনশৃঙ্খলায় চুয়াডাঙ্গার অবস্থান খুব ভালো। যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো আইনের আওতায় আসবে। যথাযথভাবে প্রক্যেকটি বিষয় আলোচনায় আনা হয়ে থাকে। মোট কথা সুন্দর চুয়াডাঙ্গা, স্মার্ট চুয়াডাঙ্গার কাজ যেন অবহ্যত থাকে। সেটিতে আবারও আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

সভায় জীবননগরের ইউএনও হাসিনা মমতাজ পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুই চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় তথা আটক করার তাগাদা দেন। এছাড়াও জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জীবননগর থানার থানার ওসির সশরীরে না এসে প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়টিতে আলোকপাত করেন।

সভায় পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিগত পাঁচ বছরের চেয়ে বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো। যে ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়, সেই ধরনের ঘটনা এ বছর অন্য যেকোনো বছরের থেকে কম। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের নজরে যেভাবেই আসুক, আমরা খেয়াল রাখছি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ তৎপর। মাঠে আমাদের লোকজন কাজ করে। কিন্তু গাড়িতে মামলা দিলেই আপনাদেরই কেউ কেউ ফোন করেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাই আপনাদের লোক। এগুলো যদি করা হয়, তাহলে আমি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কন্ট্রোল করব কীভাবে? হেলমেট না পরে কয়েকদিন আগেই একটি ছেলের মাথার মগজ বেরিয়ে গেছে। আমি নিজে ছবি দেখে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তারপরও কেন হেলমেট পরে না, বুঝি না। মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। সচেতনতা বাড়াতে হবে।

কাজী সাহেবকে আমি বলেছি, ‘আপনি বাল্যবিয়ে পড়াবেন না। আপনি সাহস করেন। আপনার গায়ে কে হাত তুলে আমি তো আছি। সাহসী না হলে তো মুক্তিযুদ্ধ কেউ করতো না। আপনারাও নিজ নিজ জায়গায় সাহসী হন। দেখবেন অনেক কিছু ঠিক হয়েছে। সব পুলিশের দিকে না তাকিয়ে আইন মানি, আইন মানাতে শেখায়, সহযোগিতা করি। সামাজিক সচেতনতা ছাড়া সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। সামাজিক অবক্ষয় যেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বৃদ্ধি না পায়, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

জীবননগর উপজেলার ইউএনও’র বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, দুই চেয়ারম্যানের ওপর হামলার বিষয়ে না। আমরা শুধু জনপ্রতিনিধি না, একজন সাধারণ মানুষের ওপরেও এমন ঘটনা ঘটুক, তা আমরা চাই না। এ ধরনের ঘটনা কেন শুধু জীবননগরে ঘটছে। ওসিকে নিয়ে পিও ভিজিট করতে হবে। পথসভা করতে হবে। ওসি মিটিংয়ে কেন যাচ্ছে না। তাকে সম্মান দিতে হবে। এটা আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট। এসপি গেলে ওসি কেন যাবে না। আমি ওই চেয়ারম্যানকে স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে দেখ আসছি। কিন্তু এখনো মামলা হয়নি, মামলাটা হয়নি কেন! আপনাদেরও দেখতে হবে। সব দপ্তর একসঙ্গে আসলাম। আমি এই জেলাকে আমার জেলা মনি করি। সেই ভাবেই কাজ করার চেষ্টা করি।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. ফাতেহ আকরাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বেলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

মাদকের ব্যাপারে শুধু সীমান্ত নয়, শহরেও নজর রাখতে হবে

আপলোড টাইম : ০৫:৩২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের কর্মতৎপরতা বেড়েছে। শুধুমাত্র সীমান্তবর্তী স্থানে নয়, শহরের যেসব স্পটে মাদকের পূর্বে রেকর্ড আছে, সেগুলোতেও নজর রাখতে হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে।

জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, অপরাধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কর্মতৎপরতা বেড়েছে। আত্মহত্যার বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক আয়োজন করা হচ্ছে। মাদক, বাল্যবিয়ে ও আত্মহত্যা এই তিনটি সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। নিজ নিজ জায়গা থেকে এই তিনটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। সভা-সেমিনারের বাইরে সাংস্কৃতিক আয়োজন, বিতর্কের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।

কাজী সমিতির সভাপতিকে উদ্দেশ্যে করে জেলা প্রশাসক বলেন, কাজী হিসেবে নিবন্ধন বাদে যারা পরিচয় দিচ্ছেন, তাদের একটি তালিকা আমাদের দিবেন। আমরা সেটা যাচাই-বাছাই করে আইনের আওতায় আনবো। যারা ভুয়া কাজী, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

খাবারে ভেজাল রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, খাবারে ভেজালের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য পরীক্ষার জন্য খুব দ্রুতই একটি ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার পেতে যাচ্ছে। এটি একটি ভালো বিষয়। সেই সাথে আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, বিজ্ঞ আদালতকে সহযোগিতা করা আমাদের সকলের কর্তব্য। আদালতে যাতে সাক্ষী আসে, সে বিষয়ে তৎপর হতে হবে।

উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্য করে বলেন, উপজেলা পর্যায়ের সভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমন্বয় করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে আইনশৃঙ্খলায় চুয়াডাঙ্গার অবস্থান খুব ভালো। যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো আইনের আওতায় আসবে। যথাযথভাবে প্রক্যেকটি বিষয় আলোচনায় আনা হয়ে থাকে। মোট কথা সুন্দর চুয়াডাঙ্গা, স্মার্ট চুয়াডাঙ্গার কাজ যেন অবহ্যত থাকে। সেটিতে আবারও আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

সভায় জীবননগরের ইউএনও হাসিনা মমতাজ পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুই চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় তথা আটক করার তাগাদা দেন। এছাড়াও জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জীবননগর থানার থানার ওসির সশরীরে না এসে প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়টিতে আলোকপাত করেন।

সভায় পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিগত পাঁচ বছরের চেয়ে বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো। যে ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়, সেই ধরনের ঘটনা এ বছর অন্য যেকোনো বছরের থেকে কম। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের নজরে যেভাবেই আসুক, আমরা খেয়াল রাখছি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ তৎপর। মাঠে আমাদের লোকজন কাজ করে। কিন্তু গাড়িতে মামলা দিলেই আপনাদেরই কেউ কেউ ফোন করেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাই আপনাদের লোক। এগুলো যদি করা হয়, তাহলে আমি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কন্ট্রোল করব কীভাবে? হেলমেট না পরে কয়েকদিন আগেই একটি ছেলের মাথার মগজ বেরিয়ে গেছে। আমি নিজে ছবি দেখে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তারপরও কেন হেলমেট পরে না, বুঝি না। মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। সচেতনতা বাড়াতে হবে।

কাজী সাহেবকে আমি বলেছি, ‘আপনি বাল্যবিয়ে পড়াবেন না। আপনি সাহস করেন। আপনার গায়ে কে হাত তুলে আমি তো আছি। সাহসী না হলে তো মুক্তিযুদ্ধ কেউ করতো না। আপনারাও নিজ নিজ জায়গায় সাহসী হন। দেখবেন অনেক কিছু ঠিক হয়েছে। সব পুলিশের দিকে না তাকিয়ে আইন মানি, আইন মানাতে শেখায়, সহযোগিতা করি। সামাজিক সচেতনতা ছাড়া সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। সামাজিক অবক্ষয় যেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বৃদ্ধি না পায়, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

জীবননগর উপজেলার ইউএনও’র বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, দুই চেয়ারম্যানের ওপর হামলার বিষয়ে না। আমরা শুধু জনপ্রতিনিধি না, একজন সাধারণ মানুষের ওপরেও এমন ঘটনা ঘটুক, তা আমরা চাই না। এ ধরনের ঘটনা কেন শুধু জীবননগরে ঘটছে। ওসিকে নিয়ে পিও ভিজিট করতে হবে। পথসভা করতে হবে। ওসি মিটিংয়ে কেন যাচ্ছে না। তাকে সম্মান দিতে হবে। এটা আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট। এসপি গেলে ওসি কেন যাবে না। আমি ওই চেয়ারম্যানকে স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে দেখ আসছি। কিন্তু এখনো মামলা হয়নি, মামলাটা হয়নি কেন! আপনাদেরও দেখতে হবে। সব দপ্তর একসঙ্গে আসলাম। আমি এই জেলাকে আমার জেলা মনি করি। সেই ভাবেই কাজ করার চেষ্টা করি।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. ফাতেহ আকরাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বেলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন প্রমুখ।