ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে

গণধর্ষণের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর গতকাল সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে লাল্টু মল্লিক (৩০) ও একই গ্রামের মৃত গোপাল মন্ডলের ছেলে ইকরা হোসেন (৪৫)। মামলার অন্য দুজন আসামি হলেন- কয়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে মো. খালিদ হোসেন (২২) ও মুসা আলীর ছেলে জব্বার হোসেন (১৮)। তারা দুজনই পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে পানি আনতে যান। এসময় একই গ্রামের লাল্টু মল্লিক, খালিদ হোসেন, জব্বার হোসেন ও ইকরা হোসেন তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি পেয়ারা বাগানে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, যেন ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলে। তবে ওই গৃহবধূ গত রোববার ওই চারজনের নামে নিজে বাদী হয়ে জীবননগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আমরা এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।

এদিকে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গত তিন বছর আগে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের এক প্রবাসীর সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ হয়। ওই পক্ষের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে থাকা সত্ত্বেও কয়া গ্রামে মিণ্টু নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর সাথে বিবাহ করেন। কাপড় ব্যবসায়ী মিণ্টুর আগের স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে গ্রামে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে।

সীমান্ত ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মিণ্টুর স্ত্রী যে দিন থানায় যায়, ওই দিন আমার সাথে বলেছিল তাকে মারধর করা হয়েছে। সে বিষয়ে সে নাকি গ্রামে বিচার পাবে না। সে জন্য তার স্বামী তাকে নিয়ে থানায় যায়। তবে ধর্ষণের বিষয়ে আমাদের কাউকে কিছু বলেনি এবং এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা শুধু মিডিয়া এবং পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারলাম। কিন্তু গ্রামের কোনো লোক কিছুই জানে না।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে

গণধর্ষণের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

জীবননগরে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর গতকাল সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে লাল্টু মল্লিক (৩০) ও একই গ্রামের মৃত গোপাল মন্ডলের ছেলে ইকরা হোসেন (৪৫)। মামলার অন্য দুজন আসামি হলেন- কয়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে মো. খালিদ হোসেন (২২) ও মুসা আলীর ছেলে জব্বার হোসেন (১৮)। তারা দুজনই পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে পানি আনতে যান। এসময় একই গ্রামের লাল্টু মল্লিক, খালিদ হোসেন, জব্বার হোসেন ও ইকরা হোসেন তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি পেয়ারা বাগানে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, যেন ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলে। তবে ওই গৃহবধূ গত রোববার ওই চারজনের নামে নিজে বাদী হয়ে জীবননগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আমরা এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।

এদিকে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গত তিন বছর আগে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের এক প্রবাসীর সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ হয়। ওই পক্ষের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে থাকা সত্ত্বেও কয়া গ্রামে মিণ্টু নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর সাথে বিবাহ করেন। কাপড় ব্যবসায়ী মিণ্টুর আগের স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে গ্রামে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে।

সীমান্ত ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মিণ্টুর স্ত্রী যে দিন থানায় যায়, ওই দিন আমার সাথে বলেছিল তাকে মারধর করা হয়েছে। সে বিষয়ে সে নাকি গ্রামে বিচার পাবে না। সে জন্য তার স্বামী তাকে নিয়ে থানায় যায়। তবে ধর্ষণের বিষয়ে আমাদের কাউকে কিছু বলেনি এবং এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা শুধু মিডিয়া এবং পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারলাম। কিন্তু গ্রামের কোনো লোক কিছুই জানে না।’