ইপেপার । আজ শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহেশপুরে দুই দিনে তিন রাসেলস ভাইপার ধরা পড়ায় আতঙ্কে কৃষকরা

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৭:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা দুই দিনে তিনটি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটি সাপ বন বিভাগ উদ্ধার করতে পারলেও দুটি গ্রামবাসী মেরে ফেলেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দীর্ঘদিন জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন। এদিকে, সীমান্তের গ্রামগুলোতে এই বিষাক্ত সাপের দেখা মেলায় কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

মহেশপুরের নেপা গ্রামের আহসান হাবিব বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইছামতি নদীতে মাছ ধরার জন্য দোয়াড়ি পাতেন পেপুলবাড়িয়া গ্রামের উজ্জল হোসেন। কিছুক্ষণ পরেই দেখেন দোয়াড়ির মধ্যে একটি সাপ। সাপটিকে তিনি জ্যন্ত ধরে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে মহেশপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম সাপটি অবমুক্ত করার জন্য উদ্ধার করেন।

একই দিন মহেশপুরের মাইলবাড়িয়া গ্রামে শিশুরা একটি সাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। গ্রামবাসী সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে সাপটি রাসেলস ভাইপার বলে শনাক্ত হন। গতকাল শুক্রবার মহেশপুরের কাঞ্চনপুর-হুদাপাড়া গ্রামের কৃষকেরা ফুলের খেতে কাজ করতে গিয়ে আরো একটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পান। সাপটিকে কৃষকেরা পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন জানান, ২০ বছর আগে স্থানীয়ভাবে চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত রাসেলস ভাইপার সাপটির দেখা মিলতো। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে রাসেলস ভাইপার সাপটি আবারও এলাকাবাসীর নজরে পড়তে থাকে। তিনি আরও জানান, এখন প্রতিনিয়ত মহেশপুরের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগুলোতে রাইসেল ভাইপার সাপ দেখা যাচ্ছে। ভারতের ইছামতি নদী দিয়ে এই সাপ আগেও যেমন আসতো এখনো আসছে বলে তিনি জানান।

বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে তা মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। সাপগুলো না মেরে বন বিভাগকে খবর দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এখন বর্ষা মৌসুম। সব প্রজাতির সাপের বংশ বিস্তারের সময়। যে কারণে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ গর্ত থেকে বেরিয়ে বাইরে বিচরণ করছে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন তিনি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মহেশপুরে দুই দিনে তিন রাসেলস ভাইপার ধরা পড়ায় আতঙ্কে কৃষকরা

আপলোড টাইম : ০৪:৩৭:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা দুই দিনে তিনটি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটি সাপ বন বিভাগ উদ্ধার করতে পারলেও দুটি গ্রামবাসী মেরে ফেলেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দীর্ঘদিন জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন। এদিকে, সীমান্তের গ্রামগুলোতে এই বিষাক্ত সাপের দেখা মেলায় কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

মহেশপুরের নেপা গ্রামের আহসান হাবিব বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইছামতি নদীতে মাছ ধরার জন্য দোয়াড়ি পাতেন পেপুলবাড়িয়া গ্রামের উজ্জল হোসেন। কিছুক্ষণ পরেই দেখেন দোয়াড়ির মধ্যে একটি সাপ। সাপটিকে তিনি জ্যন্ত ধরে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে মহেশপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম সাপটি অবমুক্ত করার জন্য উদ্ধার করেন।

একই দিন মহেশপুরের মাইলবাড়িয়া গ্রামে শিশুরা একটি সাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। গ্রামবাসী সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে সাপটি রাসেলস ভাইপার বলে শনাক্ত হন। গতকাল শুক্রবার মহেশপুরের কাঞ্চনপুর-হুদাপাড়া গ্রামের কৃষকেরা ফুলের খেতে কাজ করতে গিয়ে আরো একটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পান। সাপটিকে কৃষকেরা পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন জানান, ২০ বছর আগে স্থানীয়ভাবে চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত রাসেলস ভাইপার সাপটির দেখা মিলতো। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে রাসেলস ভাইপার সাপটি আবারও এলাকাবাসীর নজরে পড়তে থাকে। তিনি আরও জানান, এখন প্রতিনিয়ত মহেশপুরের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগুলোতে রাইসেল ভাইপার সাপ দেখা যাচ্ছে। ভারতের ইছামতি নদী দিয়ে এই সাপ আগেও যেমন আসতো এখনো আসছে বলে তিনি জানান।

বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে তা মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। সাপগুলো না মেরে বন বিভাগকে খবর দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এখন বর্ষা মৌসুম। সব প্রজাতির সাপের বংশ বিস্তারের সময়। যে কারণে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ গর্ত থেকে বেরিয়ে বাইরে বিচরণ করছে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন তিনি।’