ইপেপার । আজশনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে ধারের টাকা চাইতে গিয়ে যুবককে মারধর!

প্রতিবেদক, হরিণাকুণ্ডু:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শুড়া গ্রামে ধার দেওয়া টাকা চাইতে গিয়ে এক যুবক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিণাকুণ্ডুু পৌরসভার শুড়া গ্রামে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, জহুরুল প্রেমের সম্পর্ক করে একই গ্রামে খন্দকার আব্দুল মজিদের মেয়ে সিনিয়ার সাথে বিবাহ করেন। বিয়ের পর থেকেই সংসারে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। জহুরুল দাবি করেন, সিনিয়ার মা তাকে ব্লাকমেইল করে সিনিয়ার সাথে বিয়ে দিয়েছে। তিনি বাধ্য হয়ে সিনিয়াকে বিবাহ করেন। আর সিনিয়িার বাবাকে ৮০ হাজার টাকা ধার দেন। তবে তার স্ত্রী অন্য পরপুরুষের সাথে মেলামেশা করত। বিষয়টি জানার পরে স্ত্রীকে শাসন করতে গেলে সে বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডির্ভোস দেয়।

জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্থানীয় লোকজনের সাথে করে আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে সিনিয়ার বাবা হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সিনিয়া ও তার মা আমাকে গাছের সাথে বেধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি সেখান থেকে উদ্ধার হই।’

এ বিষয়ে সিনিয়া বলেন, ‘আমি জহুরুলকে ডিভোর্স দিয়েছি। তবে সে স্থানীয় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে টাকা-পয়সার জন্য চাপ দেয়।’ হরিণাকুণ্ডুু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। মীমাংসা করার জন্য গত ৫ জুন ডেকেছিলাম। তবে মজিদ এবং তার লোকজন আসেনি।’ হরিণাকুণ্ডুু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, দুই পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হরিণাকুণ্ডুতে ধারের টাকা চাইতে গিয়ে যুবককে মারধর!

আপলোড টাইম : ০৯:০১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শুড়া গ্রামে ধার দেওয়া টাকা চাইতে গিয়ে এক যুবক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিণাকুণ্ডুু পৌরসভার শুড়া গ্রামে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, জহুরুল প্রেমের সম্পর্ক করে একই গ্রামে খন্দকার আব্দুল মজিদের মেয়ে সিনিয়ার সাথে বিবাহ করেন। বিয়ের পর থেকেই সংসারে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। জহুরুল দাবি করেন, সিনিয়ার মা তাকে ব্লাকমেইল করে সিনিয়ার সাথে বিয়ে দিয়েছে। তিনি বাধ্য হয়ে সিনিয়াকে বিবাহ করেন। আর সিনিয়িার বাবাকে ৮০ হাজার টাকা ধার দেন। তবে তার স্ত্রী অন্য পরপুরুষের সাথে মেলামেশা করত। বিষয়টি জানার পরে স্ত্রীকে শাসন করতে গেলে সে বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডির্ভোস দেয়।

জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্থানীয় লোকজনের সাথে করে আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে সিনিয়ার বাবা হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সিনিয়া ও তার মা আমাকে গাছের সাথে বেধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি সেখান থেকে উদ্ধার হই।’

এ বিষয়ে সিনিয়া বলেন, ‘আমি জহুরুলকে ডিভোর্স দিয়েছি। তবে সে স্থানীয় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে টাকা-পয়সার জন্য চাপ দেয়।’ হরিণাকুণ্ডুু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। মীমাংসা করার জন্য গত ৫ জুন ডেকেছিলাম। তবে মজিদ এবং তার লোকজন আসেনি।’ হরিণাকুণ্ডুু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, দুই পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।