ইপেপার । আজশনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সাথে দিনভর বৃষ্টি

জনজীবনে চরম ভোগান্তি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ৭২ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। গত রোববার দিবাগত রাত থেকে দমকা বাতাসের সাথে সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। যা গতকাল সারাদিন অব্যাহত ছিল। বৃষ্টিতে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবীদের। সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অফিসগামীরা পড়েন ভোগান্তিতে। কেউ ছাতা কেউবা রেইনকোর্ট পরিধান করে বের হন।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার বাসিন্দা বিশিষ্ট রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আশিক মাহবুব বলেন, ‘রাতে ঝড়ে আমার বাসা থেকে বের হওয়ার পথে একটি মাঝারি ধরণের মেহগনি গাছ ভেঙ্গে পড়ে আছে, এ কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারিনি। তবে গরম না থাকায় স্বস্তি ছিল।’

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারের বাঁধন ইলেক্ট্রট্রনিক্সের প্রোপাইটার আবু উবায়দা জানান, রেমালের প্রভাবে সামান্য বৃষ্টিতে রাত থেকে লোডশেডিং ভুগিয়েছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় দোকানে যায়নি। বাড়িতে সময় কাটিয়েছি। এদিকে, হাটখোলা বাজারের কৃষক দোয়াল্লিন জানান, রেমালের প্রভাবে অধিকাংশ সবজিখেত কাত হয়ে গেছে। তিনি জানান, আগাম ঝাল, বেগুন, বানখেত বিশেষ করে করল্লা, চিচিঙ্গা, লাউয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদরের দীননাথপুর গ্রামের কৃষক জানান, রেমালের প্রভাবে মাঠে কলা ও পেঁপেঁ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের অফিস সচিব শাহিন আলী জানান, চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে রেমালের প্রভাবে ইপিইপিল, মেহগনি, আমগাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। তবে সারাদিন বাতাস আর বৃষ্টির কারণে গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, সোমবার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এদিন ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭২ দশমিক ৩ মিলিমিটার। বাতাসের তীব্রতা ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৪৪ কি.মি.।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সাথে দিনভর বৃষ্টি

জনজীবনে চরম ভোগান্তি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

আপলোড টাইম : ০৪:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ৭২ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। গত রোববার দিবাগত রাত থেকে দমকা বাতাসের সাথে সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। যা গতকাল সারাদিন অব্যাহত ছিল। বৃষ্টিতে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবীদের। সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অফিসগামীরা পড়েন ভোগান্তিতে। কেউ ছাতা কেউবা রেইনকোর্ট পরিধান করে বের হন।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার বাসিন্দা বিশিষ্ট রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আশিক মাহবুব বলেন, ‘রাতে ঝড়ে আমার বাসা থেকে বের হওয়ার পথে একটি মাঝারি ধরণের মেহগনি গাছ ভেঙ্গে পড়ে আছে, এ কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারিনি। তবে গরম না থাকায় স্বস্তি ছিল।’

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারের বাঁধন ইলেক্ট্রট্রনিক্সের প্রোপাইটার আবু উবায়দা জানান, রেমালের প্রভাবে সামান্য বৃষ্টিতে রাত থেকে লোডশেডিং ভুগিয়েছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় দোকানে যায়নি। বাড়িতে সময় কাটিয়েছি। এদিকে, হাটখোলা বাজারের কৃষক দোয়াল্লিন জানান, রেমালের প্রভাবে অধিকাংশ সবজিখেত কাত হয়ে গেছে। তিনি জানান, আগাম ঝাল, বেগুন, বানখেত বিশেষ করে করল্লা, চিচিঙ্গা, লাউয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদরের দীননাথপুর গ্রামের কৃষক জানান, রেমালের প্রভাবে মাঠে কলা ও পেঁপেঁ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের অফিস সচিব শাহিন আলী জানান, চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে রেমালের প্রভাবে ইপিইপিল, মেহগনি, আমগাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। তবে সারাদিন বাতাস আর বৃষ্টির কারণে গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, সোমবার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এদিন ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭২ দশমিক ৩ মিলিমিটার। বাতাসের তীব্রতা ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৪৪ কি.মি.।