ইপেপার । আজ শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তীব্র দাবদাহ অব্যাহত, টানা চার দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড

গরমে মানুষের নাভিশ্বাস, দেশজুড়ে হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই তাপপ্রবাহ আরও ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষরিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় দেশজুড়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এসময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

এদিকে, গতকাল আবহাওয়া কার্যালয় তাপপ্রবাহের সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর দিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৭ এপ্রিল (গত বুধবার) সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। এদিন, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে যৌথভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, তীব্র দাবদাহে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে ধানসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।

হোটেল ব্যবসায়ী আমান আলী বলেন, ‘গরমে বিক্রি কমে গেছে। রাস্তায় লোকজন কম বের হওয়ায়, চারপাশ মরুভূমির মতো ফাঁকা মনে হচ্ছে। রোদে ছাদ তেপে থাকছে, ফ্যানের বাতাসেও টেকা যাচ্ছে না। একটু বৃষ্টির জন্য মন অস্থির হয়ে যাচ্ছে।’ ‘বারবার পানি ছিটিয়েও ফুল তাজা রাখা যাচ্ছে না। রোদ আর গরমে মানুষের অবস্থায় কাহিল, সারা দিনে মাত্র কয়েকশ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। বিক্রির আগেই ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে রোদ আর গরম চলতে থাকলে ফুলের ব্যবসা বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’ বলছিলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের পোস্ট অফিস এলাকার ফুল ব্যবসায়ী জলিল।

কাঠপট্টি এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সজিব হেসেন বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ কম। গরমে তরমুজও অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হচ্ছে।’ এদিকে, কয়েক দিনের তীব্র গরমে বেড়ে চলছে রোগবালাই। জেলা সদর হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল হাসপাতালে গরমজনিত কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ২০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিন হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৭৪ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, তীব্র গরমে হার্টের রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, খাওয়ার স্যালাইন, লেবুর শরবত ও তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তীব্র দাবদাহ অব্যাহত, টানা চার দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড

গরমে মানুষের নাভিশ্বাস, দেশজুড়ে হিট অ্যালার্ট জারি

আপলোড টাইম : ০৭:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই তাপপ্রবাহ আরও ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষরিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় দেশজুড়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এসময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিনের তীব্র দাবদাহে নাকাল জনজীবন। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

এদিকে, গতকাল আবহাওয়া কার্যালয় তাপপ্রবাহের সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর দিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৭ এপ্রিল (গত বুধবার) সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। এদিন, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে যৌথভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, তীব্র দাবদাহে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে ধানসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।

হোটেল ব্যবসায়ী আমান আলী বলেন, ‘গরমে বিক্রি কমে গেছে। রাস্তায় লোকজন কম বের হওয়ায়, চারপাশ মরুভূমির মতো ফাঁকা মনে হচ্ছে। রোদে ছাদ তেপে থাকছে, ফ্যানের বাতাসেও টেকা যাচ্ছে না। একটু বৃষ্টির জন্য মন অস্থির হয়ে যাচ্ছে।’ ‘বারবার পানি ছিটিয়েও ফুল তাজা রাখা যাচ্ছে না। রোদ আর গরমে মানুষের অবস্থায় কাহিল, সারা দিনে মাত্র কয়েকশ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। বিক্রির আগেই ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে রোদ আর গরম চলতে থাকলে ফুলের ব্যবসা বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’ বলছিলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের পোস্ট অফিস এলাকার ফুল ব্যবসায়ী জলিল।

কাঠপট্টি এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সজিব হেসেন বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ কম। গরমে তরমুজও অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হচ্ছে।’ এদিকে, কয়েক দিনের তীব্র গরমে বেড়ে চলছে রোগবালাই। জেলা সদর হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল হাসপাতালে গরমজনিত কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ২০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এদিন হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৭৪ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, তীব্র গরমে হার্টের রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, খাওয়ার স্যালাইন, লেবুর শরবত ও তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।