ইপেপার । আজ শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিশের সাথে ধাক্কা, আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; module: a; hw-remosaic: 0; touch: (0.28796297, 0.28796297); modeInfo: ; sceneMode: NightHDR; cct_value: 0; AI_Scene: (0, -1); aec_lux: 291.2657; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

চুয়াডাঙ্গায় অননুমোদিত যানবাহন প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট চলাকালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পুলিশের এক এএসআইসহ মোটরসাইকেলে থাকা তিন কিশোর আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে এএসআই রতন ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মোটরসাইকেলে থাকা কিশোরদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, তিন কিশোর এক মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা থেকে দ্রুতগতিতে মেহেরপুরে যাচ্ছিল। ওইসময় সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলছিল। দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের চালককে থামতে ইঙ্গিত করেন। এসময় তারা আরও দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মোটরসাইকেলের ব্রেক না থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দায়িত্বরত এএসআই রতন ইসলামকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা তিন আরোহীও রাস্তার পাশে পড়ে আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেলে থাকা আহতরা সকলেই মেহেরপুর জেলার পিরোজখালি গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলো- সমির আলীর ছেলে মাহফুজ, নাসির আলীর ছেলে শাহিন ও আরিফুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কবির হোসেন আহত পুলিশ সদস্যকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, মোটরসাইকেলের আরোহীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের মুচলেকা নেয়া হয়েছে। একই সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য ও তিন কিশোরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে কাটাছেলা জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিশের সাথে ধাক্কা, আহত ৪

আপলোড টাইম : ০৫:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় অননুমোদিত যানবাহন প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট চলাকালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পুলিশের এক এএসআইসহ মোটরসাইকেলে থাকা তিন কিশোর আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে এএসআই রতন ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মোটরসাইকেলে থাকা কিশোরদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, তিন কিশোর এক মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা থেকে দ্রুতগতিতে মেহেরপুরে যাচ্ছিল। ওইসময় সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলছিল। দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের চালককে থামতে ইঙ্গিত করেন। এসময় তারা আরও দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মোটরসাইকেলের ব্রেক না থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দায়িত্বরত এএসআই রতন ইসলামকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা তিন আরোহীও রাস্তার পাশে পড়ে আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেলে থাকা আহতরা সকলেই মেহেরপুর জেলার পিরোজখালি গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলো- সমির আলীর ছেলে মাহফুজ, নাসির আলীর ছেলে শাহিন ও আরিফুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কবির হোসেন আহত পুলিশ সদস্যকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, মোটরসাইকেলের আরোহীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের মুচলেকা নেয়া হয়েছে। একই সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য ও তিন কিশোরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে কাটাছেলা জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।