ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নানা কর্মসূচিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে মুজিবনগর দিবস পালন

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৭:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার পৃথক আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম কবীর আহম্মেদ ও গীতা পাঠ করেন সুনিল মল্লিক। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শেখ মো. রাসেলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুম আহাম্মেদ, জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম, জেলা ওষুধ প্রশাসন কর্মকর্তা সূকর্ণ আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক রফিকুজ্জামান প্রমুখ।

মুজিবনগর:
যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে বাধা প্রদান করবে, প্রচারণা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। যারা মুজিবনগর সরকারকে স্বীকার করে না, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। মুজিবনগর সরকার হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এর বিরোধিতা যারা করে, তারা মূলত স্বাধীনতা বিরোধী। দিনটি বাঙালি জাতীয় জীবনে অন্যতম একটি স্বরণীয় দিন। মুজিবনগর দিবসে আমাদের প্রত্যয়-স্বাধীনতা বিরোধীরা বারবার দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে একটি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে তুলেছেন। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে যা যা করণীয় করে যাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। গতকাল বুধবার মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য কাজি জাফর উল্লাহ এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, সঠিক তথ্য পেলে তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে যাদের সনদে ভুল ধরা পড়েছে তাদের সনদ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মুজিবনগর দিবসটি বি ক্যাটাগরি রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট মুজিবনগর দিবসটি এ ক্যাটাগরির রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করছি, ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে উত্থাপন হলে এ ক্যাটাগরি দিবস হিসেবে মুবিজনগর দিবস পালন করা সম্ভব হবে। সেই সাথে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সটি বিশ^মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার যে টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, তার কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বর্তমান সময়ে যে কোনো দেশের তুলনায় অত্যন্ত প্রসংশনীয়।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি। তবে পরিতাপের বিষয় হলো বিএনপি-জামায়াতসহ অনেকেই মুজিবনগর সরকারের শপথের এই দিনটি পালন করে না। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ প্রতিবছর এই দিনটি নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতে হলে মুজিবনগর সরকারেক বিশ্বাস করতে হবে। তাই মুজিবনগরকে আধুনিকায়ন করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে সে বিষয়ে বর্তমান সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার জন্য মুজিবনগরে স্থাপন করা হচ্ছে চেক পোস্ট। যার কার্যক্রম দ্রুতই এগিয়ে চলেছে। হবে স্থলবন্দরও। স্থলবন্দর বড় অবকাঠামো নির্মাণ সাপেক্ষে চালু হবে। স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত সমিক্ষার কাজও শেষ হয়েছে। এ সবই ঐতিহাসিক মুজিবনগরের কল্যাণে মেহেরপুরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনন্য উপহার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মুজিবনগর দিবস অনুষ্ঠানের সভাপতি আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, বির্নিমাণে যেখানেই বাধা আসবে, যেখানেই বিভান্তি সৃষ্টি করা হবে বা প্রচার করা হবে, সেখানেই প্রতিবাদ করা হবে। এই হোকে আমাদের আজকের মুজিবনগর দিবসের প্রত্যায়। দেশে বিএনপি-জামায়াত একেক সময় এককে রকম কথা বলে বেড়ায়। যার কোনো ভিত্তি নেই। তারা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে বিভর। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করে তারা ফায়দা লুটতে চায়। তবে তাদের সে আশা পূরণ হবে না। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর খায়েশ বিএনপির পূরণ হবে না।

এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপির সভাপতিত্বে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য কাজি জাফর উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইস.এম খাইরুজ্জামান লিটন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি, সৈয়দা জাকিয়া নুর এমপি, পারভিন জামান কল্পনা এমপি, অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের এমপি এস এম নাজমুল হক, মেহেরপুরের আশপাশ জেলার সংসদ সদস্যগণসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। পরে শেখ হাসিনা মঞ্চে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে পুলিশ, আনসার, স্কাউট ও গার্লস গাইড দল অতিথিদের গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। পরে শেখ হাসিনা মঞ্চে অতিথিরা বক্তব্য দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নানা কর্মসূচিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে মুজিবনগর দিবস পালন

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয়

আপলোড টাইম : ০৮:৩৭:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার পৃথক আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম কবীর আহম্মেদ ও গীতা পাঠ করেন সুনিল মল্লিক। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শেখ মো. রাসেলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুম আহাম্মেদ, জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম, জেলা ওষুধ প্রশাসন কর্মকর্তা সূকর্ণ আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক রফিকুজ্জামান প্রমুখ।

মুজিবনগর:
যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে বাধা প্রদান করবে, প্রচারণা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। যারা মুজিবনগর সরকারকে স্বীকার করে না, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। মুজিবনগর সরকার হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এর বিরোধিতা যারা করে, তারা মূলত স্বাধীনতা বিরোধী। দিনটি বাঙালি জাতীয় জীবনে অন্যতম একটি স্বরণীয় দিন। মুজিবনগর দিবসে আমাদের প্রত্যয়-স্বাধীনতা বিরোধীরা বারবার দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে একটি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে তুলেছেন। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে যা যা করণীয় করে যাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। গতকাল বুধবার মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য কাজি জাফর উল্লাহ এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, সঠিক তথ্য পেলে তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে যাদের সনদে ভুল ধরা পড়েছে তাদের সনদ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মুজিবনগর দিবসটি বি ক্যাটাগরি রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট মুজিবনগর দিবসটি এ ক্যাটাগরির রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করছি, ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে উত্থাপন হলে এ ক্যাটাগরি দিবস হিসেবে মুবিজনগর দিবস পালন করা সম্ভব হবে। সেই সাথে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সটি বিশ^মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার যে টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, তার কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বর্তমান সময়ে যে কোনো দেশের তুলনায় অত্যন্ত প্রসংশনীয়।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি। তবে পরিতাপের বিষয় হলো বিএনপি-জামায়াতসহ অনেকেই মুজিবনগর সরকারের শপথের এই দিনটি পালন করে না। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ প্রতিবছর এই দিনটি নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতে হলে মুজিবনগর সরকারেক বিশ্বাস করতে হবে। তাই মুজিবনগরকে আধুনিকায়ন করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে সে বিষয়ে বর্তমান সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার জন্য মুজিবনগরে স্থাপন করা হচ্ছে চেক পোস্ট। যার কার্যক্রম দ্রুতই এগিয়ে চলেছে। হবে স্থলবন্দরও। স্থলবন্দর বড় অবকাঠামো নির্মাণ সাপেক্ষে চালু হবে। স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত সমিক্ষার কাজও শেষ হয়েছে। এ সবই ঐতিহাসিক মুজিবনগরের কল্যাণে মেহেরপুরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনন্য উপহার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মুজিবনগর দিবস অনুষ্ঠানের সভাপতি আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, বির্নিমাণে যেখানেই বাধা আসবে, যেখানেই বিভান্তি সৃষ্টি করা হবে বা প্রচার করা হবে, সেখানেই প্রতিবাদ করা হবে। এই হোকে আমাদের আজকের মুজিবনগর দিবসের প্রত্যায়। দেশে বিএনপি-জামায়াত একেক সময় এককে রকম কথা বলে বেড়ায়। যার কোনো ভিত্তি নেই। তারা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে বিভর। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করে তারা ফায়দা লুটতে চায়। তবে তাদের সে আশা পূরণ হবে না। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর খায়েশ বিএনপির পূরণ হবে না।

এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপির সভাপতিত্বে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য কাজি জাফর উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইস.এম খাইরুজ্জামান লিটন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি, সৈয়দা জাকিয়া নুর এমপি, পারভিন জামান কল্পনা এমপি, অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের এমপি এস এম নাজমুল হক, মেহেরপুরের আশপাশ জেলার সংসদ সদস্যগণসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। পরে শেখ হাসিনা মঞ্চে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে পুলিশ, আনসার, স্কাউট ও গার্লস গাইড দল অতিথিদের গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। পরে শেখ হাসিনা মঞ্চে অতিথিরা বক্তব্য দেন।