ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাত পোহালেই মুজিবনগর দিবস, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

আসছেন মন্ত্রীসহ আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা

প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৮:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

আগামীকাল ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। এদিন মুজিবনগর আম্রকাননে শপথ নিয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। দিনটিকে ঘিরে মেহেরপুরজুড়ে এখন সাজ সাজ রব। দিবসটি পালন উপলক্ষে মুজিবনগর আম্রকাননে আসবেন কয়েকজন মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা। চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলে এই আম্রকাননে শপথ নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশর প্রথম সরকার। পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। শপথ গ্রহণের পর তৎকালীন বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করা হয় জাতির জনকের নামানুসারে মুজিবনগর। তারপর থেকেই সারাদেশে দিনটি পালন করা হয় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস নামে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে চলছে স্মৃতিসৌধে ধোয়া-মোছার কাজ, রংতুলির আঁচর দেওয়া হচ্ছে ভাস্কর্য্যগুলোতে। প্রস্তুত করা হচ্ছে শেখ হাসিনা মঞ্চ। ১৭ এপ্রিল সকালে এখানেই অনুষ্ঠিত হবে বিশাল জনসভা, কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। করোকালীন সময়ের পর এবারই বৃহৎ পরিসরে পালন করা হবে দিবসটি।

জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাসিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। সঞ্চালনা করবেন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)-সহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ‘সম্পূর্ণ মুজিবনগর কমপ্লেক্স নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। থাকবে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে কাজ করবে পুলিশের একাধিক টিম। থাকবে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট। কোনোভাবেই ছোটখাটো কোনো অপরাধও যেন সংঘটিত না হতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে পুলিশ।’

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, ‘দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া প্রচণ্ড গরমের চিন্তা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যান রাখা হয়েছে। সেড নির্মাণের কাজ চলছে। থাকবে প্রচুর পরিমাণ পানির ব্যবস্থা। দায়িত্ব পালন করবে স্বাস্থ্য বিভাগের দুটি মেডিকেল টিম।’ জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন জানান, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের জনসভায় অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটানো হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রাত পোহালেই মুজিবনগর দিবস, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

আসছেন মন্ত্রীসহ আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা

আপলোড টাইম : ০৯:১৮:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আগামীকাল ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। এদিন মুজিবনগর আম্রকাননে শপথ নিয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। দিনটিকে ঘিরে মেহেরপুরজুড়ে এখন সাজ সাজ রব। দিবসটি পালন উপলক্ষে মুজিবনগর আম্রকাননে আসবেন কয়েকজন মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা। চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলে এই আম্রকাননে শপথ নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশর প্রথম সরকার। পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। শপথ গ্রহণের পর তৎকালীন বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করা হয় জাতির জনকের নামানুসারে মুজিবনগর। তারপর থেকেই সারাদেশে দিনটি পালন করা হয় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস নামে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে চলছে স্মৃতিসৌধে ধোয়া-মোছার কাজ, রংতুলির আঁচর দেওয়া হচ্ছে ভাস্কর্য্যগুলোতে। প্রস্তুত করা হচ্ছে শেখ হাসিনা মঞ্চ। ১৭ এপ্রিল সকালে এখানেই অনুষ্ঠিত হবে বিশাল জনসভা, কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। করোকালীন সময়ের পর এবারই বৃহৎ পরিসরে পালন করা হবে দিবসটি।

জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাসিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। সঞ্চালনা করবেন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)-সহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, ‘সম্পূর্ণ মুজিবনগর কমপ্লেক্স নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। থাকবে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে কাজ করবে পুলিশের একাধিক টিম। থাকবে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট। কোনোভাবেই ছোটখাটো কোনো অপরাধও যেন সংঘটিত না হতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে পুলিশ।’

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, ‘দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া প্রচণ্ড গরমের চিন্তা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যান রাখা হয়েছে। সেড নির্মাণের কাজ চলছে। থাকবে প্রচুর পরিমাণ পানির ব্যবস্থা। দায়িত্ব পালন করবে স্বাস্থ্য বিভাগের দুটি মেডিকেল টিম।’ জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন জানান, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের জনসভায় অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটানো হবে।