ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার দুটিসহ ২৪৭টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক অর্থ বোঝায় এমন ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে পুষ্পকানন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ছায়াবিথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, খুলনার কয়রার খাসিটানা উচ্চবিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাম জ্ঞানপ্রদীপ চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জমিদারবাড়ি চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটোরের লালপুরের গোদাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সালামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের চোরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মাতৃছায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একই উপজেলার চুলধরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভণ্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বর্ণমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। এভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক অর্থ বোঝায় এমন ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম। এর আগে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করে মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক নাম শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক ভাবার্থের, যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠায় অন্তরায়। এ জন্য মন্ত্রণালয় ওইসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের নেতিবাচক ভাবার্থ ও শ্রুতিকটূ সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার দুটিসহ ২৪৭টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

আপলোড টাইম : ০৯:১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক অর্থ বোঝায় এমন ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে পুষ্পকানন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ছায়াবিথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, খুলনার কয়রার খাসিটানা উচ্চবিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাম জ্ঞানপ্রদীপ চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জমিদারবাড়ি চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটোরের লালপুরের গোদাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সালামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের চোরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মাতৃছায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একই উপজেলার চুলধরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভণ্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বর্ণমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। এভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক অর্থ বোঝায় এমন ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম। এর আগে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করে মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক নাম শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক ভাবার্থের, যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিতভাবে বেড়ে ওঠায় অন্তরায়। এ জন্য মন্ত্রণালয় ওইসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের নেতিবাচক ভাবার্থ ও শ্রুতিকটূ সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানান তিনি।