ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও খোলা ছিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

তীব্র শীত উপেক্ষা করে ক্লাসে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও বন্ধ রাখা হয়নি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ ধরনের কোনো পত্র না পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেননি প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। গতকাল বুধবার সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলছেন, ‘আমাদের হাতে যে পরিপত্র আছে, সেটাতে স্পষ্ট করে বলা আছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার জেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

গতকাল বুধবার জেলা সদরের হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গায় থেমে থেমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গত শুক্রবার ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। তাপমাত্রা সোমবার ও মঙ্গলবার কিছুটা বেড়ে ১০ দশমিক ৯ ও ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও গতকাল বুধবার তা আবার নেমে আসে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের বেড়েছে অস্বস্তি। ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তবে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সরকারি নির্দেশনা দেখে স্বস্তি পেলেও নির্দেশনার অস্পষ্টতা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে না পৌঁছানোর কারণে চুয়াডাঙ্গার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল বুধবারও। শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশনা মন্ত্রণালয় দিলেও এ নির্দেশনা মানা হয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। শিক্ষার্থীদের কষ্ট বুঝতে পেরেও জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেননি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের নির্দেশনার কথা শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি বলে আজও (বুধবার) আমার প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে আমাদের একটি হোয়্যাটস অ্যাপ গ্রুপ আছে, সেখানে বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। ভাবছি, কাল (আজ) থেকে তাপমাত্রা দেখে বন্ধ রাখব।’
চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি জে) সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জেলা শিক্ষা অফিস দেয়নি। নির্দেশনা পেলে বাস্তবায়ন করা হবে।’ চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস জাহান বলেন, ‘টেলিভিশনে নির্দেশনার ব্যাপারে দেখেছিলাম। তবে জেলা শিক্ষা অফিস এ ধরনের কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় বিদ্যালয় চালু ছিল। শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে বেলা একটার দিকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কথা উল্লেখ আছে। স্পষ্ট করে বলা আছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে আমি খোঁজ নিয়েছি, চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। সে জন্য এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।’
তবে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার জেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সামনে সপ্তাহে তাপমাত্রা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও খোলা ছিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

তীব্র শীত উপেক্ষা করে ক্লাসে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

আপলোড টাইম : ১০:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও বন্ধ রাখা হয়নি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ ধরনের কোনো পত্র না পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেননি প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। গতকাল বুধবার সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলছেন, ‘আমাদের হাতে যে পরিপত্র আছে, সেটাতে স্পষ্ট করে বলা আছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার জেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

গতকাল বুধবার জেলা সদরের হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গায় থেমে থেমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গত শুক্রবার ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। তাপমাত্রা সোমবার ও মঙ্গলবার কিছুটা বেড়ে ১০ দশমিক ৯ ও ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও গতকাল বুধবার তা আবার নেমে আসে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের বেড়েছে অস্বস্তি। ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তবে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সরকারি নির্দেশনা দেখে স্বস্তি পেলেও নির্দেশনার অস্পষ্টতা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে না পৌঁছানোর কারণে চুয়াডাঙ্গার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল বুধবারও। শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশনা মন্ত্রণালয় দিলেও এ নির্দেশনা মানা হয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। শিক্ষার্থীদের কষ্ট বুঝতে পেরেও জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেননি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের নির্দেশনার কথা শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি বলে আজও (বুধবার) আমার প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে আমাদের একটি হোয়্যাটস অ্যাপ গ্রুপ আছে, সেখানে বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। ভাবছি, কাল (আজ) থেকে তাপমাত্রা দেখে বন্ধ রাখব।’
চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি জে) সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জেলা শিক্ষা অফিস দেয়নি। নির্দেশনা পেলে বাস্তবায়ন করা হবে।’ চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস জাহান বলেন, ‘টেলিভিশনে নির্দেশনার ব্যাপারে দেখেছিলাম। তবে জেলা শিক্ষা অফিস এ ধরনের কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় বিদ্যালয় চালু ছিল। শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে বেলা একটার দিকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কথা উল্লেখ আছে। স্পষ্ট করে বলা আছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে আমি খোঁজ নিয়েছি, চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। সে জন্য এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।’
তবে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার জেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সামনে সপ্তাহে তাপমাত্রা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’