ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামজামী ইউনিয়ন পরিষদে তিন ইউপির চেয়ারম্যান মেম্বরদের প্রীতিভোজের আয়োজন ভেঙ্গে দিল প্রশাসন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে

rtআলমডাঙ্গা অফিস: জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদে ৩ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের প্রীতিভোজ শেষ পর্যন্ত ভন্ডুল হয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ ওই নির্বাচনি প্রীতিভোজ ভন্ডুল করেছে।
জানা গেছে, ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষাবলম্বন করেন। তিনি গতকাল ২৪ ডিসেম্বর নিজের সমর্থিত চেয়ারম্যানপ্রার্থীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদে প্রীতিভোজের আয়োজন করেন। এ প্রীতিভোজে জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের পারিষদবৃন্দ ছাড়াও ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদ ও খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বর –চেয়ারম্যান যোগ দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজনে জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল মেম্বর উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, ৩ ইউনিয়নের ভোটারদের এ প্রীতিভোজের সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যানপ্রার্থী সামসুল আবেদীন খোকন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) —নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। বিষয়টি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় তিনি আয়োজক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিষেধ করেন সে প্রীতিভোজ আয়োজনের। অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও উল্লেখ করেন। সে সময় খাসকররা ইউপির মেম্বররা জামজামি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে উপস্থিত হন। ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ছবি তোলেন বলেও জানা যায়। তারপর ম্যজিস্ট্রেট ফিরে যান। এ সময় ইউপি ভবনের সামনে বেশ কিছু পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি দেখে অধিকাংশ মেম্বর প্রীতিভোজে অংশ না নিয়ে ফিরে যান। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। তারা নিকটবর্তী বাঁশ বাগানে প্রীতিভোজে অংশ নেন বলে জানান। এ ঘটনা সম্পর্কে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট এ ঘটনা জানালে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তিনি খাসকররা ইউপির মেম্বরদের ও ডাউকি ইউপির চেয়ারম্যানকে মোবাইলফোনে সেখানে যেতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি কাউকেই লঙ্ঘন করতে দেবেন না। যেই লঙ্ঘনের চেষ্টা করবেন, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জামজামী ইউনিয়ন পরিষদে তিন ইউপির চেয়ারম্যান মেম্বরদের প্রীতিভোজের আয়োজন ভেঙ্গে দিল প্রশাসন

আপলোড টাইম : ০২:৩৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

rtআলমডাঙ্গা অফিস: জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদে ৩ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের প্রীতিভোজ শেষ পর্যন্ত ভন্ডুল হয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ ওই নির্বাচনি প্রীতিভোজ ভন্ডুল করেছে।
জানা গেছে, ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষাবলম্বন করেন। তিনি গতকাল ২৪ ডিসেম্বর নিজের সমর্থিত চেয়ারম্যানপ্রার্থীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদে প্রীতিভোজের আয়োজন করেন। এ প্রীতিভোজে জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের পারিষদবৃন্দ ছাড়াও ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদ ও খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বর –চেয়ারম্যান যোগ দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজনে জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল মেম্বর উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, ৩ ইউনিয়নের ভোটারদের এ প্রীতিভোজের সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যানপ্রার্থী সামসুল আবেদীন খোকন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) —নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। বিষয়টি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় তিনি আয়োজক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিষেধ করেন সে প্রীতিভোজ আয়োজনের। অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও উল্লেখ করেন। সে সময় খাসকররা ইউপির মেম্বররা জামজামি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে উপস্থিত হন। ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ছবি তোলেন বলেও জানা যায়। তারপর ম্যজিস্ট্রেট ফিরে যান। এ সময় ইউপি ভবনের সামনে বেশ কিছু পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি দেখে অধিকাংশ মেম্বর প্রীতিভোজে অংশ না নিয়ে ফিরে যান। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। তারা নিকটবর্তী বাঁশ বাগানে প্রীতিভোজে অংশ নেন বলে জানান। এ ঘটনা সম্পর্কে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট এ ঘটনা জানালে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তিনি খাসকররা ইউপির মেম্বরদের ও ডাউকি ইউপির চেয়ারম্যানকে মোবাইলফোনে সেখানে যেতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি কাউকেই লঙ্ঘন করতে দেবেন না। যেই লঙ্ঘনের চেষ্টা করবেন, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিবেন।